জর্দানের এক প্রত্নতাত্ত্বিক শহর পেত্রা। মরুর দূর্গম এই অঞ্চলে দূর থেকে বেসিনের মতো পানি এসে পৌঁছাত। মরুভূমির তপ্ত প্রান্তর, যেখানে পানির অভাবে প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত, বসতি গড়ার চিন্তাও মানুষ মাথায় আনে না- এমন পরিবেশে তাদের নগর-পরিকল্পনা ও পানি-ব্যবস্থাপনা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
অপূর্ব নির্মাণকুশলতায় পাথরে খোদাই করে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে সুরম্য অট্টালিকা। এটি ছিল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও প্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ ক্যারাভান রুট। তারা বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য করত এবং মশলা ও সিল্কে প্রভূত উন্নতিসাধন করেছিল।
৩৬৩ সালে বড় আকারের ভূমিকম্প এর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে ও সময়ের পরিক্রমায় এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ১৮১২ সালে অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হলে বৈচিত্র্যময় এ নগরীকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে।