তার পরে শীতের কমলালেবু রোদ্দুরমাখা শহরটাকে মাটিতে রেখে হুশ করে উড়ে গেল প্লেনটা। ক্রমশ আরও ছোট পুতুলের ঘর। এখন শুধুই মেঘ। আরও পরে সূর্য ছুঁয়ে নেমে আসা— সমুদ্র, পাহাড় আর নারকেল গাছে ঘেরা ছোট্ট জনপদ।
আমরা এখন রাবণ রাজার দেশে। বন্দরনায়েক এয়ারপোর্ট ছাড়তেই চড়া রোদের সঙ্গে সাইনবোর্ড হাতে স্বাগত জানালেন সফরসঙ্গী কান্নান, একাধারে সারথি ও গাইড। ব্যস্ত শহর ছেড়ে ছুটল গাড়ি। প্রথম গন্তব্য ক্যান্ডি।
এয়ারপোর্ট থেকে ক্যান্ডির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আশ্চর্য যে, সিগন্যাল বা ট্রাফিক পুলিশের বালাই নেই। রাস্তায় আঁকা সাঙ্কেতিক নিয়ম মেনে দিব্যি ছোটে অজস্র গাড়ি। পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধে গড়ায়। গাড়ি পৌঁছল নেচার রিসর্টে।