প্রিয় শহর দার্জিলিং
দক্ষিণের স্বর্গবাঙালির ঐতিহ্য মেনে দার্জিলিং অনেকবার ঘোরা হয়ে গেছে? তাহলেও হাতে অপশন আছে। সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন উটি থেকে। তামিলনাড়ুর এই শৈল শহরে হিমালয় না থাকলেও নীলগিরি আছে। সঙ্গে আছে প্রাকৃতিক শোভা, চা বাগান, টয়ট্রেন আর নিস্তব্ধ অরণ্য। হানিমুনের জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর কীই বা হতে পারে. উটি থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কুনুর নামে আরেকটি শৈল শহর। উটিকে দক্ষিণ ভারতের স্বর্গ বলা হয়, তবে কুনুরও স্বর্গসুখ থেকে কোনও অংশে কম নয়।
কাশ্মীরের কোলে গুলমার্গ
বিয়ের ক্লান্তি এক লহমায় মুছে দিয়ে শরীরকে সতেজ করে তুলবে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ। সিমলা বা মানালির মতো ভিড় এখানে হয় না। আর শীতে এখানে বরফ পাওয়ার সম্ভাবনা একরকম 100 শতাংশ। নিজেদের প্রেমের উষ্ণতা দিয়ে সেই বরফ গলানো যায় কিনা তা একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আর গুলমার্গ যাওয়া মানেই কিন্তু মোটামুটি জম্মু-কাশ্মীরের ট্যুর প্ল্যানটাও ছকে ফেলা। রোম্যান্সের চোটে সেটা মিস করবেন না যেন।
অ্যাডভেঞ্চার হানিমুন
প্রিয় জীবনসঙ্গীকে নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার করতে চান? তাহলে যেতে পারেন কেরালার মুন্নার-এ। একে তো এই শৈল শহরটি মানিব্যাগের একেবারে বেস্ট ফ্রেন্ড। তায় আবার এর আকাশে বাতাসে রোম্যান্স আর রোমাঞ্চো। ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং-এর দারুণ ব্যবস্থা আছেই, সঙ্গে রয়েছে নৌকা বিহার এবং চা-বাগানে ডুয়েট গাওয়ার দারুণ সুযোগ। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই শহরের যেদিকেই তাকাবেন দেখবেন শুধু সবুজ আর সবুজ।
সোনার কেল্লায় মধুচন্দ্রিমা
মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিতে পারেন রাজস্থানের জয়সলমীরকে। বাঙালির চিরপরিচিত সোনার কেল্লার শহর এটি। তবে কেল্লার রহস্য ভেদ না করে রাজকীয় স্টাইলে মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে পারেন রাজাদের এই শহরে। বর্তমানে হোটেলে পরিণত হওয়া রাজপরিবারের প্রাচীন হাভেলিগুলিতে থাকতে পারেন অনায়াসে। দেখবেন প্রেমটাও আসবে রাজকীয় মেজাজে। রাজবাড়িতে থাকা, নৌকাবিহার, প্রকৃতিদর্শন, সান্ধ্য উৎসব, লোকগীতি আর রাজস্থানী খাবারের মাঝে অন্যমাত্রা পাবে মধুচন্দ্রিমার রং।
গো ফর গোয়া
প্রেমের জোয়ারে ভাসতে হলে দেশের মধ্যে সেরা ডেস্টিনেশন হল গোয়া। গোয়ার সি বিচের মতো রোম্যান্টিক অথচ উচ্ছ্বল জায়গা আর বুঝি হয় না। আর শীতের সময় গোয়ার রূপ দেখেই প্রেমে পড়ে যান সকলে। হালকা রোদ গায়ে মেখে নিরিবিলিতে একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে সময় কাটানোর আনন্দ আর কিছুতে নেই। সারা বছর তো বটেই শীতের সন্ধ্যায় গোয়া আরও জমকালো হয়ে ওঠে। রাতের দিকে শীতশীতে ব্যাপারটা বাড়লেও, প্রেমের উষ্ণতাও ছড়ায় পাল্লা দিয়ে। ইচ্ছে হলে এখানেও অ্যাডভেঞ্চার করা যায়। তবে সেটা কিন্তু হতে হবে রোম্যান্টিক অ্যাডভেঞ্চার।