গরুবাথান থেকে ঝালং, চিলাপাতা থেকে ফুন্ট শেলিং। এবার পুজোয় পাহাড়, জঙ্গলের সৌন্দর্য ঘুরিয়ে দেখাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)। রকি আইল্যান্ড, লাভা, রিকিসুম, ডেলো কোথায় নিয়ে যাবে না! টুক করে নিগমের ওয়েবসাইটে ঢুকে শুধু প্যাকেজ সিলেক্ট করে বুকিং করে নিতে হবে। আর তারপরই নিশ্চিন্তে বাসে বসে আঁকাবাঁকা পথে দিয়ে প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতে চলে যাওয়া যাবে পাহাড়ের নানা পর্যটনস্থলে।
পর্যটন শিল্পের প্রসার এবং পুজোতে আরও বেশি পর্যটক টানতে একাধিক প্যাকেজ নিয়ে হাজির এনবিএসটিসি। যে স্থানে খুব একটা মানুষজন যান না, সেই জায়গাগুলোই থাকছে এই প্যাকেজে। আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়ার দিন থেকেই পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে এই ট্যুর (Tour Package)। যার কোনওটাতে থাকছে দু’রাত, তিন দিন থাকা-খাওয়া আবার কোনও ছোট ট্যুরে থাকছে এক রাত দু’দিনের। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি বাসডিপো থেকে ছাড়বে বাস।
একইসঙ্গে কোচবিহারে জয় রাইড হিসাবে আনা হচ্ছে দোতলা বাসকেও। মূলত কোচবিহারের যে ঐতিহ্যমন্ডিত জায়গাগুলি আছে, যেমন মদনমোহন মন্দির, কোচবিহার রাজবাড়ি, সাগরদীঘি, সেই জায়গা দিয়েই ঘুরবে এই বাস। সেখানকার ঐতিহ্য নতুন প্রজন্ম এবং বাইরের পৃথিবীর কাছে তুলে ধরার জন্যই এই জয় রাইড চালু করা হচ্ছে।
নিগম সূত্রে খবর, পুজোকে কেন্দ্রে করে ‘সবুজের পথে হাতছানি’ প্যাকেজ শুরু হলেও তা গোটা শীতকাল মানে পর্যটন মরসুম ধরেই থাকবে। যাতে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসা মানুষজন নিগমের বাসে চড়ে পছন্দমতো জায়গা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। পর্যটকদের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও ঘুরিয়ে দেখানো হবে অন্যান্য দ্রষ্টব্য জায়গাগুলি। থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিগমই করবে। যার জন্য জনপ্রতি প্যাকেজের বন্দোবস্ত থাকছে।
সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮০০ টাকা পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন প্যাকেজ। তবে জঙ্গল সাফারির খরচ আলাদা। জঙ্গল সাফারির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত যোগাযোগে সাহায্য করবে নিগমই। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের পর্যটন সংস্থার সঙ্গে এবিষয়ে কথাবার্তাও চলছে। তবে আপাতত এনবিএসটিসির ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইনে তাছাড়া কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির ডিপোতে এই ট্রিপের টিকিট কাটতে পারবেন পর্যটকরা। এরপর একটা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানেই করা যাবে প্যাকেজ বুকিং।