শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
Uncategorized

পান্তা, মাছ ভাজা আর ভর্তা নিয়ে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে কিশোয়ার

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

পর্দা উঠলো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনালের। সোমবার প্রচারিত হয় চূড়ান্ত পর্বের প্রথম রাউন্ড। এদিন নিজের রেসিপি হিসেবে পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, মাছ ভাজা ও সালাদ উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী। তার রেসিপি মুগ্ধ করেছে বিচারকদের। এই রন্ধনশৈলী দিয়েই গ্র্যান্ড ফিনালের দ্বিতীয় রাউন্ড অর্থাৎ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন কিশোয়ার।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্য এমন খাবারের রান্না ছিল দৃশ্যত বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে নিজের মধ্যে ভীতি কাজ করছিল। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই এদিন কিশোয়ার তার রেসিপি তুলে ধরেন। বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটি এমন এক ধরনের খাবার, যা আপনি কোনও রেস্টুরেন্টে পাবেন না।’

প্রথমে কালা ভুনার রেসিপি দিয়ে কিশোয়ার মাতোয়ারা করেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। তারপর বিশ্বজয় করে তার রান্না মাছের ঝোল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কিশোয়ার চৌধুরী বিচারকদের হাততালি কুড়ান চিরচেনা আলুর দমের ফুচকা, চটপটি আর সমুচা বানিয়ে। সোমবার এ তালিকায় যুক্ত হয় পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, মাছ ভাজা আর সালাদ। এভাবেই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের তাক লাগিয়ে চলেছেন তিনি।

তাকে ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র ১৩তম সিজনের তারকা হিসেবে দেখছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন কিশোয়ার।

কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। মায়ের বাড়ি কলকতায়। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় তিনি একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার’। দুই সন্তানের মা এই নারী সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে গিয়েই পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি। তাকে নিয়ে বাংলাদেশিদের মতোই গর্বিত তার পরিবারও।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com