অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা-বাগানের লেক। বাগানের ১৮নং সেকশনের লেকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও পাখ-পাখালির অভয়ারণ্য। এ উপজেলায় প্রতিবছরের মতো এবারও শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই অতিথি পাখিরা দলে দলে আসছে।
ভোরের শিশির সিক্ত চারদিকে সবুজ চা-বাগানে পাখিদের কলতান পাখিপ্রেমীদের করে তুলছে চঞ্চল। পাখি দেখতে দেখতে সকাল-দুপুর-বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে তাদের অগোচরেই। ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও লেকের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি যেন এক অন্যরকম সৌন্দর্য।
এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। লেকের সৌন্দর্য রক্ষায় বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়েছে আলাদা পাহারার ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, পাত্রখলা চা-বাগানের ১৮ নং সেকশনের এ লেকে শীত আসলেই আগমন ঘটে অতিথি পাখিদের। পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও পানিতে ঝাঁপাঝাঁপিতে যেন অন্যরকম সৌন্দর্যে সাজে লেকটি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। সারাদিনই এখানে থাকে পাখি। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা অতিথি পাখিদের বিরক্ত না করতে দর্শনার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয়রা।
পাখি দেখতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, এমন কাছ থেকে দেশের আর কোথাও অতিথি পাখি দেখা যায় না। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা করা হলে দিন দিন আমাদের দেশে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অতিথি পাখি যাতে অবাধে বিচরণ করতে পারে সেদিকে বন বিভাগের নজর রাখা উচিত।
এ বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কালকোর্ট, পানকৌড়ি, ধনেশ পাখি, সাপ পাখি, মচরংভূতি হাঁস, সাদা বক, লালচে বক, কাললেজ জহুরালীসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখিদের আগমন ঘটেছে চা-বাগানের এ লেকে।