শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্বীকৃত অ্যাভিয়েশন ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স সম্পন্ন করার পর লাইসেন্স নিতে হবে আপনাকে।
পাইলট হতে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানসহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা আবশ্যক।
বয়সঃ সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
অভিজ্ঞতাঃ যেহেতু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, সেহেতু অভিজ্ঞ পাইলটদের প্রাধান্য বেশি।
দেশে কিছু ভালো অ্যাভিয়েশন ইন্সটিটিউট আছে। এছাড়া দেশের বাইরেও বিভিন্ন ফ্লাইং ট্রেনিং একাডেমি রয়েছে। এগুলো থেকে কোর্স নিয়ে সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লাইসেন্স পেলে এ পেশায় সহজেই যুক্ত হতে পারেন। উল্লেখ্য যে, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পাইলটদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী অ্যাকাডেমিতে আড়াই বছরের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর একজন পাইলট বিমানবাহিনীর বিমানচালনার জন্য উপযুক্ত হন।
এ পেশায় আকর্ষণীয় অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশীয় বিমান সংস্থায় কো-পাইলটের মাসিক আয় ৳৭৫,০০০ থেকে ৳১০০,০০০ বা তার বেশিও হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ আয়ের পরিমাণ আরো বেশি।
এ পেশায় আয় হয় প্রতি ফ্লাইটের হিসাবে, মাসিক ভিত্তিতে নয়। কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার আয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এ পেশায় ফার্স্ট অফিসার বা কো পাইলট হিসেবে যোগদান করার মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন পদে আপনি উন্নীত হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নতুন পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন অথবা আরো বড় এয়ারক্রাফট চালানোর দায়িত্ব পাবেন।