শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
Uncategorized

পাইলটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কি হয়?

  • আপডেট সময় বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

উড়োজাহাজের ফিটনেস চেক করা হয় নিয়মিত। কিন্তু সেই উড়োজাহাজ যারা চালান তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কি হয়? পাইলটরা জানালেন, উড়োজাহাজ চালানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই দেওয়া হয় লাইসেন্স। সে সময় করা হয় মানসিক ও শারীরিক  স্বাস্থ্যের পরীক্ষা। এখানেই শেষ নয়, প্রতি বছর বছর লাইসেন্স নবায়নের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেত হয় পাইলটদের।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের আকাশে হার্ট অ্যাটাক করেন। তারপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ প্রেক্ষিতে আলোচনায় আসছে পাইলটদের স্বাস্থ্যগত বিষয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল। এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাংলা ট্রিবিউনকে ফারহাত হাসান জামিল বলেন, বেবিচকের যে রেগুলেশন আছে, তাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাইরে থাকা কিংবা তথ্য গোপন করার সুযোগ নেই। বেবিচকের অনুমোদিত ক্লিনিকে পরীক্ষা করতে হয় পাইলটদের। সেই পরীক্ষায় যারা ফিট তাদের পাইলট লাইসেন্স নবায়ন হয়।

ফারহাত হাসান জামিল বলেন, পাইলট লাইসেন্সের ধরণ অনুসারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ধরণও ভিন্ন ভিন্ন রকমের। একই সঙ্গে পাইলটের বয়স অনুসারেও টেস্ট ভিন্ন রকমের। বয়স বেশি হলে পরীক্ষাগুলোও বেশি হয়।

এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে পাইলটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়গুলো নজরদারি করা হয় বলে জানালেন নভোএয়ার’র চিফ অফ সেফটি ক্যাপ্টেন আশফাকুর রহমান খান। তিনি বলেন, লাইসেন্সের জন্য পাইলটদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন হয়, তেমনি নিয়মিত এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেও মনিটরিং করা হয়।

আশফাকুর রহমান খান বলেন, নতুন করে কোনও পাইলট জয়েন করলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি পরীক্ষা করা হয়। কারণ তার মানসিক সুস্থতাও ফ্লাইটের  জন্য জরুরি। এরপরও যে কোনও সময় যে কেউ অসুস্থ হতেই পারেন। সেই মুহূর্তে যেন পরিস্থিতি সামলানো যায় এজন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ফলে একজন পাইলট অসুস্থ হলে কো-পাইলট তার দায়িত্ব পালন করবেন।

কোনও পাইলট মাদকাসক্ত কিনা, সেটিও ডোপ টেস্ট করা হয় বলে জানান ক্যাপ্টেন আশফাক।

একজন পাইলটের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিরাপদ পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পাইলটকেও দায়িত্বশীল থাকতে হয় বলে জানান আশফাকুর রহমান খান। পাইলট যদি অসুস্থ বোধ করেন, তিনি জানবেন যে তিনি অসুস্থ। তাকে কেউ বাধ্য করবে না।

বাংলাদেশের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভিসটিগেশন কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, পাইলটের অসুস্থতা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এজন্য বেবিচক গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করে। যার কারণে বাংলাদেশে পাইলটদের অসুস্থতাজনিত দুর্ঘটনা নেই। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নির্দেশনা অনুসরণ করে পাইলট নিজেও নিজের স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে অবহিত করবেন। পাইলট অসুস্থ বোধ করলে, ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য তাকে বাধ্য করা যাবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com