শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

পর্যটন বাড়ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সভ্যতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ইরাক পর্যটকদের কাছে নতুন করে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেশটিতে ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিলেও অনেক অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী কুর্দিস্তানের মতো স্বশাসিত অঞ্চলে ভ্রমণ করছেন। 

প্রাচীন ঐতিহ্যে ভরপুর ইরাকে রয়েছে ব্যাবিলনের ধ্বংসাবশেষ, মেসোপটেমিয়ার জলাভূমি ও কুর্দিস্তানের পাহাড়।

২০২১ সাল থেকে ৩০টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধা চালু হওয়ায় পর্যটন বেড়েছে এখানে। কুর্দিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে দুই কোটি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে।

এদিকে ইরাকে বেড়েছে নারী পর্যটকের সংখ্যাও। আয়ারল্যান্ডের ভ্রমণ উদ্যোক্তা জ্যানেট নিউনহ্যাম ২০২১ সালে ইরাক ভ্রমণের পর সেখানে নারীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ পরিচালনা শুরু করেন। কারবালা ও মসুলের মতো এলাকায় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি বলেন, ‘ইরাকের আতিথেয়তা ও মানবিক অভিজ্ঞতা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।’

কারবালা ও সামারার মসজিদের মতো তীর্থস্থান ও প্রাচীন শহর উর দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। চলতি বছরে ২ কোটি ১৩ লাখ দর্শনার্থীরা কারবালার ধর্মীয় স্থানগুলোয় গিয়েছিলেন। এ অঞ্চলে শুধু ইসলামই নয়, জুরোস্ট্রিয়ানিজম ও খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্যও রয়েছে। এসবের পাশাপাশি কুর্দিস্তানে স্কাই ট্রিপ ও জাগ্রোস পর্বতমালায় ট্রেকিং এখন নতুন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।

কুর্দিস্তানের রাজধানী এরবিলে পর্যটন দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে শহরটি ২০ লাখ পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২০২৩ সালের ৩০ লাখ পর্যটককে ছাড়িয়ে যাবে।

ইরাকে যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। তবুও এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই ইরাকের পর্যটন শিল্প ধীরে ধীরে বিকাশ হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com