দেশের পর্যটন এলাকাসহ কূটনৈতিক জোন ও বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে মদ কেনাবেচার জন্য বারের (পানশালা) লাইসেন্স দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার লাইসেন্স, হোটেল অ্যান্ড বার লাইসেন্স, কাবাব অ্যান্ড বার লাইসেন্স, বিলাতি মদের অফ শপ লাইসেন্স, ডিউটি ফ্রি অফ শপ লাইসেন্স, ডিউটি পেইড অফ শপ লাইসেন্স নামে ছয় প্রকারের লাইসেন্স দেওয়া হবে। এছাড়া বিদেশি মদ আমদানি, মদ্যপানের পারমিট প্রদান, এছাড়াও একজন ব্যক্তি মাসে কতটুকু মদ গ্রহণ করতে পারবেন ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ‘হোটেল/রেস্তোরাঁ/ক্লাবে বার লাইসেন্স ও সব রকমের অফ শপ এ বিলাতি মদ/বিদেশি মদের লাইসেন্স/পারমিট প্রদান ও নবায়ন সংক্রান্ত’ একটি নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, আইনেই বলা হয়েছে একটা বিধিমালা হবে। সেই বিধিমালা হচ্ছে। অ্যালকোহলের বিষয়টি তো একটা গাইডলাইনের মধ্যে আনতে হবে। এই বিধিমালা হলে গাইডলাইনের মধ্যে থেকে যারা আবেদন করবে, সরকার যদি মনে করে তাদের লাইসেন্স দেবে। আমরা বিধিমালা করছি। বিধিমালার আওতায় যারা আসবেন, কিছু শর্ত থাকবে, কিছু ক্রাইটেরিয়া থাকবে, এগুলো যারা ফুলফিল করবেন, তাদের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করতে পারে।’
দেশে অ্যালকোহল বা মদ কেনাবেচায় এখনও মুসলিম প্রহিবিশন রুল ১৯৫০ ও এক্সাইজ ম্যানুয়াল, ভলিয়ুম-২ এর বিধান প্রতিপালন করা হয়। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে অ্যালকোহল বা মদ্যপান কেনাবেচার বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর আলোকে ১৯৯৯ সালে একটি বিধিমালা করা হলেও সেখানে অ্যালকোহল বা মদপানের বিষয়ে কোনও কিছু উল্লেখ ছিল না।