নেপাল ভ্রমণের আগে প্রাথমিক ধারণা

বলা হয়, নেপাল নামের উৎপত্তি দুটি শব্দ, নে (পবিত্র) এবং পাল (গুহা) থেকে এসেছে। এর অর্থ পবিত্র গুহা। এই পবিত্র গুহা বা নেপাল শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয় বিশ্বের অনিন্দ্যসুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। নেপালের ভূ-প্রকৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ। এর মোট আয়তন প্রায় ১৪ লাখ ৭ হাজার ১৮১  বর্গ কিলোমিটার (৫৬ হাজার ৮২৭ বর্গমাইল)। ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে নেপালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়- পর্বত,পাহাড়ি উঁচু ভূমি ও নিচু সমতল ভূমি অর্থাৎ তরাই।

এই চমৎকার স্থানটি ভ্রমণ করার আগে যেসব তথ্য জানা প্রয়োজন সে সম্বন্ধে ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ড নোমেডসডটকম জানিয়েছে কিছু তথ্য। চলুন এক পলকে পড়ে নেই সেসব তথ্য।

সংস্কৃতি 
নেপাল ভ্রমণের আগে তাদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জেনে নিন। তাদের সংস্কৃতিতে কারো সঙ্গে দেখা হলে প্রথমে প্রার্থনার ভঙ্গিতে হাত জোর করে নমস্তে বা নমস্কার বলতে হয়। যদি কোনো প্রবীণকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে চান তবে নারীর ক্ষেত্রে দিদি এবং পুরুষের ক্ষেত্রে দাই সম্বোধন করতে হবে। নেপালে পায়ে ধরে সম্মান দেখানোর কোনো রীতি নেই।

নেপালে ছোট পোশাক পরে লোকালয়ে না আসাই ভালো। বিশেষত নারীর ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রযোজ্য। ছোট পোশাক পরলে অনেকেরই ভ্রু কুচকানোর সম্মুখীন হতে পারেন আপনি।

যদি কোনো নেপালি পরিবারে নিমন্ত্রণে যান তবে ঘরে প্রবেশের আগে অবশ্যই জুতা খুলে প্রবেশ করুন। খাওয়ার আগে হাত ও মুখ ধুয়ে নেবেন। খাবার খাওয়ার সময় পরিবেশন না করা পর্যন্ত নিজে খাবার নেবেন না।

পর্বত আরোহণের সময়
নেপালে যাবেন আর পাহাড়ে উঠবেন না তাই কী হয়! আপনি যদি পেশাদার পর্বতারোহী না হন তাহলে ছোটখাটো পাহাড়ে যাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে। তবে এই বিষয়ে খুব সতর্ক হতে হবে আপনাকে। আরোহণের সময় একজন স্থানীয় সঙ্গী বা গাইড সঙ্গে রাখা ভালো। নয় তো অচেনা জায়গায় আরোহণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ছাড়া নেপালে পবর্ত আরোহণের জন্য কিছু সংস্থা রয়েছে সেগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

মনে রাখবেন প্রস্তুতি ছাড়া পর্বতে আরোহণ করবেন না।

পানি পানে সতর্ক হোন
এই দেশে পানি পানের ক্ষেত্রে  খুব সতর্ক থাকতে হবে। এমনকি সেটা হোটেলে দেওয়া পানির ক্ষেত্রেও। কেননা সেখানে ফুটানো পানির বেশ অভাব। অনেকেই দোকান থেকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল কিনে নেন। তবে  সুযোগ থাকলে আপনি পানি নিজেই ফুটিয়ে খেতে পারেন।

নেপালি খাবার 
নেপালের খাদ্য তালিকায় সাধারণত থাকে ডাল, ভাত, তরকারি। এর সাথে থাকতে পারে আচার বা চাটনি। নেপালের খাবারে সাধারণত বেশি ঝাল দেওয়া হয়। তাই খাবার চাওয়ার আগে কী রকম খাবার খেতে পছন্দ করেন সেটি জানিয়ে দিন।

মাউন্ট এভারেস্ট দর্শন 
মাউন্ট এভারেস্টকে কাছ থেকে দেখতে চাইলে ছোট বিমান ভাড়া করতে পারেন। বিমান ভাড়া দেওয়ার বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডুতে। তবে হেঁটে মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে হলে আপনার বেশ পরিশ্রম করতে হবে। আগেভাগে প্রশিক্ষণও নিতে হবে। এ জন্য শহরেই বিভিন্ন গাইড ফার্ম রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

আর নাগরকোট গিয়েও আপনি মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কাঠমান্ডু থেকে বাসে করে যেতে হবে নাগরকোটে। এই জায়গা থেকে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: