কুয়ালা লামপুর বেড়ানোর প্ল্যানটা আমরা স্কুলের কয়েক জন বন্ধু বেশ অনেক দিন ধরেই করছিলাম। কারণ আমাদের আর এক বন্ধু দীর্ঘ দিন ধরে কর্মসূত্রে সে দেশে রয়েছে। ওরই আহ্বানে এবং কুয়ালা লামপুর বেড়ানোর আগ্রহে শেষ পর্যন্ত গত নভেম্বরে আমাদের বিদেশে পাড়ি। স্কুলের বন্ধুরা, তাদের পরিবার আর কচিকাঁচার দল মিলিয়ে আমরা মোট ন’জন রওনা দিলাম কুয়ালা লামপুর, লঙ্কাভি এবং সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে।
কলকাতা থেকে রাত ১২টায় আমাদের যাত্রা শুরু। কুয়ালা লামপুর পৌঁছতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা। আমাদের সঙ্গে ওখানকার সময়ের ব্যবধান আড়াই ঘণ্টা হওয়ায় সকাল সাতটায় কুয়ালা লামপুরের মাটি ছুঁল আমাদের বিমান। সেখান থেকে সোজা বন্ধুর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে। সেটিই ছিল আমাদের কুয়ালা লামপুরের আস্তানা। সকালটা একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে দেখতে গেলাম এশিয়ার সর্বোচ্চ টুইন টাওয়ার—পেট্রোনাস। ৮৮ তলার শৃঙ্গে ওঠা না গেলেও টিকিট কেটে এলিভেটরে বেশ কয়েক তলা ওঠা যায়। আমেরিকার ওয়র্ল্ড ট্রেড সেন্টার এখন ইতিহাস। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাও দেখার সুযোগ হয়নি। যদিও পেট্রোনাসের চূড়ায় ওঠার অভিজ্ঞতা অতুলনীয়! সেখান থেকে কুয়ালা লামপুরের সিংহভাগই দৃশ্যমান।