ভাটির জনপদ হাওর বেষ্টিত এলাকার কাশ্মীর খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয়ের কূলঘেষা নান্দনিক পর্যটনকেন্দ্র শহীদ সিরাজ লেক যা নিলাদ্রী নামেই দেশে-বিদেশে পরিচিত লাভ করেছে। নিলাদ্রী লেক অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা।
নিলাদ্রীর অপরুপ সৌন্দর্য্যর কাছে হার মেনে অনেকেই নীল স্বচ্ছ জলের মাঝে সাতাঁর কাটেন নির্বিগ্নে। নিলাদ্রী লেকে রয়েছে ছোট ছোট নৌকা যা দিয়ে লেকের বিতরের পুরো সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকগন। নিলাদ্রী লেকের উত্তর পাশে রয়েছে ভারতের সাদা পাথর আর দীর্ঘ উচুঁনিছু আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সমন্নয়ে গড়ে উঠেছে এক সু-বিশাল পর্যটন কেন্দ্রস্থল।নিলাদ্রীর টিক পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে ট্যাকারঘাটের তৎকালীন সময়ের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের বিভিন্ন ধরণের পরিত্যাক্ত সরঞ্জাম সামগ্রী। লেকের পাশে রয়েছে উচুঁনিচুঁ সবুজ পাহাড়,রয়েছে পর্যটকদর বসার মত ছাতাবাহী বেশ কয়েকটি আসন। যা পর্যটকদের বিশ্রাম নেয়ার মত উপকরণ হিসেবে ভুমিকা রাখে।’
দূর থেকে নীলাদ্রির দিকে দু-চোখ দিয়ে থাকালে মনে হয় যেন এক মায়া কান্নার সাথে ডাকছে। এভাবেই দৃষ্টি নন্দন নিলাদ্রী লেক দেশে-বিদেশে থাকা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরেই।’
রাজধানী ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মাসুদ করিম বলেন, আমরা পাঁচজন বন্ধু এক সাথে নিলাদ্রী লেকে প্রথম আসলাম চারপাশে উঁচুনিচুঁ পাহাড় আর উত্তরের মেঘালয়ের অপুরুপ সৌন্দর্য্য আমাদেরকে মনোমুগ্ধ করেছে, সময় পেলে আবারো আসবো পরিবার নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে, আরো ভালো হত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকগন একটি ভালো ট্যুর উপভোগ করা সুযোগ পেতেন বলে আমি মনে করি।