এই অন্তর্ভুক্তির কারণে রাজমিস্ত্রি, ছাদ নির্মাণকারী, ছাদের টাইলস বসানো ও প্লাস্টারকারীসহ এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরো বিভিন্ন পেশার বিদেশি কর্মীদের সহজে যুক্তরাজ্যে নিয়ে শ্রম ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে৷
কিছু কিছু খাতে তীব্র শ্রম সংকটে ভুগছে যুক্তরাজ্য৷ ঘাটতি পূরণে নিয়োগকর্তারা বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করতে আগ্রহী৷ কিন্তু, বিদেশি কর্মী আনার বিষয়টি আবার প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির জন্য রাজনৈতিক মাথাব্যথার কারণ৷ কারণ, গত এক দশক ধরে এই রাজনৈতিক দলটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে৷
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে ‘‘জাতীয় অবকাঠামো নির্মাণকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে৷’’
গত মার্চে নির্মাণ শিল্পকে শ্রম ঘাটতি যুক্ত পেশায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল ইনডিপেনডেন্ট মাইগ্রেশনস অ্যাডভাইজরি কমিটি৷ এরই মধ্যে এই তালিকায় পরিচর্যা কর্মী, গণপূর্ত প্রকৌশলী, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতও আছে৷
মে মাসে দেয়া এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ব্রিটেনে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ছয় লাখ ছয় হাজার অভিবাসী এসেছেন৷ অপরদিকে, অভিবাসন ঠেকানো সুনাক প্রশাসনের অগ্রাধিকারগুলোর একটি৷
ব্রেক্সিটের সমালোচকেরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার কারণে শ্রম ঘাটতি আরো বেড়েছে৷ ব্রেক্সিটের কারণে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকেরা আর আগের মতো ব্রিটেনে কাজ করার জন্য ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন না৷
যুক্তরাজ্যে কাজের জন্য ভিসা পেতে অবশ্যই আবেদনকারীর কাছে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পাওয়া চাকরির প্রস্তাব থাকতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা লাগবে৷