শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
Uncategorized

নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন : জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন

  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কানাডার সরকারি প্রচার মাধ্যমের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে বিরোধী কনজার্ভেটিভদের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। সোমবার সেখানে ৪৪তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। দিনশেষে সিবিসি নিউজ রিপোর্টে বলে যে, এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হবে লিবারেল পার্টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭০টি আসন পেতে হয়। তারা হয়তো এর চেয়ে সামান্য কম আসন পেতে পারে। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় সিবিসির প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ১৫১টি নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্টে বিজয়ী হয়েছেন অথবা এগিয়ে আছেন লিবারেল পার্টির প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফল সোমবার প্রকাশ করা হবে না। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর থেকে হাজার হাজার ডাকে পাওয়া ভোট গণনা হওয়ার কথা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে এগিয়ে চলেছে ট্রুডোর দল। করোনা ভাইরাস মহামারি কিভাবে তার দেশ মোকাবিলা করেছে সে বিষয়ে জনগণের রায় জানার জন্য মধ্য আগস্টে আগাম ভোট দেয়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো। এতে তার বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ইরিন ও’তোলে’র কনজার্ভেটিভ পার্টি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ভোটারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, করোনা মহামারির সময়ে নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে।

গত ফেডারেল নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। এ সময় লিবারেল পার্টি আসন পেয়েছিল ১৫৭টি। তবে বিরোধীদের কারো কারো কাঁধে ভর করে তারা প্রয়োজনীয় ১৭০ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখায়। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এবং ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার পরিচালক ডানিয়েল বেল্যান্ড বলেছেন, এবারের নির্বাচনেও একই রকম ফল আসবে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে মাইনরিটি হিসেবে ক্ষমতায় আসতে পারে লিবারেলরা। আর আগের মতোই হতে পারে পার্লামেন্ট। জাস্টিন ট্রুডো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যে জুয়া খেলতে চেয়েছিলেন, তাতে তিনি হেরে গেছেন। তবে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। বেশির ভাগ কানাডিয়ান এই নির্বাচন চাননি।

জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন

টানা তৃতীয়বারের মতো কানাডার ক্ষমতায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রুডোর বয়স এখন ৪৯ বছর। বেশ কিছু বিষয়ে সামান্য জনপ্রিয়তা কমে গেলেও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আবারও এই তরুণ রাজনীতিকের হাতেই তুলে দিয়েছেন দেশের মানুষ। অর্থাৎ কানাডায় এখনও সবার ভরসার জায়গা ট্রুডোই।

২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে ১৮৪ আসনের মধ্যে ৩৬টিতে জয় পেয়ে কানাডার ইতিহাসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল লিবারেল পার্টি। সেসময় দেশের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ট্রুডো। জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা পিয়ের ট্রুডো কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

অটোয়াতে জন্ম নেওয়া ট্রুডো তরুণ বয়স থেকেই লিবারেল পার্টির সমর্থক ছিলেন। তার বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে তিনি আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। অল্প বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তার যোগ্যতা নিয়ে সব সময়ই সমালোচকদের প্রশ্ন ছিল।

তবে ২০১৫ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর নানামূখী উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো। মধ্যবিত্তদের জন্য রাজস্বের হার কমানো এবং ধনীদের ক্ষেত্রে কর বাড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। স্বচ্ছ ও নীতিবান সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন এই তরুণ নেতা।

এবার করোনা মহামারির মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো। সোমবার অনুষ্ঠিত ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তুমুল লড়াই হয়েছে। বর্তমান সরকারে ট্রুডোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি বদলাতেই হয়তো আগাম নির্বাচন দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযোগ আছে যে গত ছয় বছরে তার সরকারের কাজকর্মে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে লিবারেল পার্টির ওপর ভোটারদের আস্থা, এমনকি তার জনপ্রিয়তাও অনেকেটা কমে গেছে। ব্যক্তিজীবনে বন্ধুসলভ জাস্টিন ট্রুডো ২০০৫ সালে সোফি গ্রেগরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget
© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com