নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। হরিণ দেখতে ভোরে উঠে স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। নিঝুম দ্বীপের মতো দেশের অন্য কোথাও একসঙ্গে এত চিত্রা হরিণ দেখা যায় না। আর পাখি দেখতে চাইলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ কবিরাজের চর ও দমার চর উত্তম জায়গা। নিঝুম দ্বীপে দেখা মিলে প্রায় ৩৫ প্রজাতির বিভিন্ন পাখির।
নিঝুম দ্বীপ গেলে আপনি একসঙ্গে পাবেন– সমুদ্র সৈকত, দ্বীপের অন্য এক পাশে সেন্টমারটিনের অনুভূতি! এখানে রয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের ছোঁয়া, নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান, হরিণের পাল দেখার সুযোগ। সেই সঙ্গে ভরপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য তো আছেই।
ঢাকার সদরঘাট সন্ধ্যা ৫টা ৩০মিনিটে এমভি ফারহান-৩ বা ফারহান-৪ লঞ্চে উঠে সকাল ৬টায় হাতিয়া। সেখান থেকে মাছ ধরা লঞ্চে সোজা নিঝুম দ্বীপ অথবা বাইকে (৩০০/৪০০টাকা) করে চলে যান ঘাটপার। সেখান থেকে নৌকায় নিঝুম দ্বীপ। এবার মূল বাজারে যাবার পালা। তাই আবার বাইকে করে চলে যান একদম আসল নিঝুম দ্বীপের নামারবাজার।
থাকার জন্য নিঝুম দ্বীপে বর্তমানে ভালো মানের হোটেল আছে। এরমধ্যে অন্যতম হোটেল দিপান্তর। ডাবল বেড প্রতি রাত ৯০০ টাকা ভাড়া (চার/ছয় জন সহজেই থাকা যাবে)।
হোটেলের কাছেই অনেক খাবার দোকান পাবেন, দামও খুব বেশি নয়। সকালে পাবেন পরোটা/রুটি, দুপুরে ভাত আর টাটকা মাছ, মুরগী, সবজি, ডাল। সন্ধায় লুচি, আর রাতে দুপুরের মতোই। এছাড়া রাতে বারবিকিউ করতে পারেন সমুদ্রের পাড়ে। শীতকালে গেলে ওখানে সকালে/সন্ধায় ফ্রেশ খেজুরের রস খেতে পারবেন, দাম গ্লাস প্রতি ১৫/২০টাকা।