রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন

নিউজিল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

আমাদের দেশের অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমাতে চান। তবে বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড হাই কমিশন না থাকায় অনেকেরই নিউজিল্যান্ডে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েও যথাযথ তথ্যের অভাবে সে স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়।

যেহেতু বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড হাই কমিশন নেই, তাহলে কোথায় আবেদন করবেন তা নিয়ে ভাবছেন? ভাবনার অবসান ঘটিয়ে আমি জানিয়ে দিচ্ছি কী কী ধাপ অনুসরণ করলে আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা পাবেন।

নিউজিল্যান্ড হাই কমিশন

ভারতের মুম্বাই বা কলকাতায় অবস্থিত ভিসা সংক্রান্ত অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সাথে যে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে

  • উচ্চশিক্ষার জন্য নিউজিল্যান্ড গমনে প্রয়োজনীয় অর্থ যে আছে, তার প্রমাণপত্র।
  • আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট।
  • সকল অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট যেমন- স্নাতক পাসের সার্টিফিকেট, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সুপারিশপত্র, প্রয়োজনভেদে কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র।
  • আইএলটিএস এ স্কোরের প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন স্কোর ৬ প্রয়োজন। যদি হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএলটিএস স্কোর ৫.৫ নিয়েও আবেদন করা যায়।
  • ৬ মাসের বেশি পুরোনো ছবি সংযুক্ত করা যাবে না। ছবির পটভূমি হালকা রঙের হতে হবে এবং চেহারা স্পষ্টভাবে বোঝা যেতে হবে। কোনো প্রকার চোখের লেন্স ব্যবহার করা যাবে না। যদি চশমা ব্যবহার করেন, তবে তাকে চশমা খুলে ছবি তুলতে হবে।
  • ছবি তোলার সময় পুরুষদের মাথায় কোনো প্রকার টুপি এবং নারীদের মাথায় ফিতা, কাপড় থাকা যাবে না। তবে ধর্মীয় ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মাথায় টুপি, ফিতা ও কাপড় দেয়া যেতে পারে।

আবেদনের সময় ব্যবহৃত ছবির সাইজ সংক্রান্ত তথ্য

অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে ছবি jpg বা jpeg ফরমেট এবং সাইজে ৫০০ কিলোবাইট থেকে ১০ মেগাবাইট হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছবির সাইজ ৯০০x১২০০ (প্রস্থxউচ্চতা) পিক্সেল থেকে ৪৫০০x৬০০০ পিক্সেলের মধ্যে হতে হবে। ছবির অনুপাত ৪:৩ হবে। আর যদি আপনি আবেদনপত্র (কাগজ) পূরণ করে জমা দেন, তখন ছবির সাইজ ৩৫x৪৫ (প্রস্থxউচ্চতা) মিমি হবে।

আবেদনের ফিসমূহ

কলকাতা বা মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং অফিসে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে ২৭০ মার্কিন ডলার জমা দিতে হবে। এছাড়াও পাসপোর্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতের হাই কমিশনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৩৭৪ ভারতীয় রুপি অথবা সমান পরিমাণ টাকা টিটি সার্ভিসের (টেলি ট্রান্সপোর্ট) মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ভিসা ও অন্যান্য ফি জমা দেওয়ার জন্য ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড অথবা ইউনিয়ন-পে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডও ব্যবহার করা যাবে।

স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং-এ সম্ভাব্য সময়

ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। মূলত আবেদনকারীর তথ্য যাচাই এবং তথ্য মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে কত দিন সময় লাগবে। তবে আবেদনের সময় ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেয়া হয়।

কাজের সুযোগ

পড়ালেখার পাশাপাশি স্টুডেন্টদের জন্য কাজের সুবিধা রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। একজন স্টুডেন্ট পড়ার ফাঁকে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি পাবেন।

আরও কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

নিউজিল্যান্ডের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত কোর্সের মেয়াদের সমান দেয়া হয়। যদি কোনো কারণে কোর্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অফিসে গিয়ে রিনিউ করতে হবে এবং শিক্ষার্থী হিসেবে অবস্থানরত অবস্থায় অবশ্যই হেলথ ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে। আর যদি কোর্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আপনি আরও কিছু দিন থাকতে চান, তবে সব শর্ত পূরণ করে রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com