আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে বেকায়দায় পড়েছে নারীরা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ কর্মজীবী নারীর চাকরি চলে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না নারী শিক্ষার্থীরা। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া দূরবর্তী জায়গায় ভ্রমণেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নারীদের বোরকা পরতে বলছে দেশটির পুণ্যের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়। এসব পদক্ষেপের বিরোধিতা করে প্রায়ই রাস্তায় আন্দোলন করছেন নারীরা।
আন্দোলনরত একদল নারীকে লক্ষ্য করে এবার পিপার (গোল মরিচ) স্প্রে ছুড়েছে তালেবান।
পড়াশোনা ও কাজের অধিকারের দাবিতে প্রায় ২০ জন নারী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমাবেশ করলে তালেবান বাহিনী এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় নারীরা ‘সমানাধিকার ও ন্যায়বিচার’ এবং ‘নারী অধিকার, মানবাধিকার’ লেখা ব্যানার নিয়ে আসে।
একজন নারী জানান, পিপার স্প্রে লাগায় তার ডান চোখ যেন পুড়ছিল।
এ সময় তিনি একজন তালেবান যোদ্ধাকে বলেন, ‘তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।’ তখন যোদ্ধাটি তার দিকে বন্দুক তাক করে।
এ ছাড়া পিপার স্প্রের পর একজন নারীর এলার্জির সমস্যা হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তালেবানরা দেশটির দায়িত্ব গ্রহণের পর নারীরা চাকরি করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে নারীরা এখনও ফিরতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ে বারবার রাস্তায় নেমে আসছে।