বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

নান্দনিক সৌন্দর্যের অভয়ারন্য ফয়েজলেক

  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

ভ্রমণ পিপাসুরা যে কয়টি বিষয়ের ওপর ভ্রমণের স্থান নির্বাচন করেন।তার মধ্যে অন্তত তিনটি বিষয় মিলবে ফয়েজলেকে। লেকটিতে ভ্রমণ করলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিরল প্রজাতির পাখিসহ নৌকায় চড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে নানন্দিক সৌন্দর্যের অভয়ারন্য হচ্ছে ফয়েজলেক।

চট্টগ্রামে প্রায় ৩৩৬ একর জমির উপর গড়ে উঠা ফয়েজলেক এবং তার আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে বছরের প্রত্যেকটা দিনই দেশি বিদেশি পর্যটক ভিড় জমান। যেখানে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নৌকা ভ্রমনের ব্যবস্থা। রয়েছে বিরল প্রজাতির পাখি এবং ডিয়ার পার্কের হরিন। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রয়েছে ট্রাকিং এর ব্যবস্থা। কনসার্ট করার জন্যও বিশাল আকারের আয়োজন রয়েছে। এছাড়া লেকের আশপাশের আরো কয়েকটি ভ্রমনপ্রিয় স্থানও একই সঙ্গে ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে।যার মধ্যে চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা, পৃথক কৃত্তিম হৃদ, বাটালি পাহাড় উল্লেখযোগ্য।

জানা গেছে, ১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রেল কলোনিতে বসবাসকারী লোকদের কাছে পানি পৌছানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল একটি লেক।পাহাড়ের এক শীর্ষ থেকে আরেক পাহাড়ের শীর্ষের মধ্যবর্তী একটি সংকীর্ণ উপত্যকায় আড়াআড়ি ভাবে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই লেকটি। ভূ-তাত্বিকভাবে দুপিটিলা স্তর সমষ্টিল শিলা দ্বারা গঠিত হয় এইসব পাহাড় শ্রেণী।

উত্তর দিকের পাহাড় শ্রেনী থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহের দিক পরিবর্তন করে তৈরি করা হয় এই লেকটি। সেই সময় লেকটি পাহাড়তলী লেক হিসবে পরিচিত থাকলেও পরবর্তীতে রেল প্রকৌশলী ফয়-এর নামে করা হয় লেকটির নামকরন। বর্তমানে ফয়েজ লেকের মালিকানা বাংলাদেশ রেলওয়ের। হ্রদটি কেন্দ্র করে কনকর্ড একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।

ফয়েজ লেক দেখতে গেলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেখে আসতে পারেন। ফয়েজ লেকের পাশেই অবস্থিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। লেকের নিকটবর্তী পাহাড়তলী রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে আরেকটি কৃত্তিম হৃদ। ফয়েজলেক তৈরির পূর্বে ১৯২০ সালে সেই লেকটি খনন করা হয়েছিল। সেই লেকটিও পরিণত হয়েছে পর্যটন  কেন্দ্র হিসেবে। ফয়েজলেক দেখতে গেলে দেখে আসতে পারেন চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাহাড় “বাটালি পাহাড়” যার অবস্থান ফয়েজলেকের পাশেই।

কোথায় খাবেন: ফয়েজলেকের ভিতরেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তুলনামুলক ভাবে কম দামে খেতে চাইলে ফয়েজলেক থেকে বেরিয়ে আসলেই খাওয়া জন্য অনেক রেষ্টুরেন্ট দেখতে পাবেন।

কোথায় থাকবেন: ফয়েজলেকে কটেজ ভাড়া করে থাকতে পারেন। এছাড়া ফয়েজলেক থেকে বেরিয়ে আসলে কাছাকাছি বিভিন্ন মানের হোটেল আছে।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা শহড় থেকে চট্টগ্রামে বাস, ট্রেন বা বিমান যোগে যেতে পারেন। চট্টগ্রাম যাওয়ার পর রিক্সা বা সিএনজিতে করে যেতে পারেন ফয়েজলেক। ফয়েজলেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com