যুক্তরাষ্ট্রের ‘এইচ-১বি’ ভিসার ১ লাখ ডলারের ফি এবং জটিলতা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে চীন নতুন ‘কে ভিসা’ চালু করেছে। এটি বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত খাতের তরুণ পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্য রাখে।
সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন নিয়ম আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সম্প্রতি বিদেশিদের প্রবেশ ও প্রস্থান প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ সংশোধনের জন্য একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বেইজিংয়ের এই ‘কে ভিসা’ হল যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসার চীনা সংস্করণ। বিশ্বব্যাপী কর্ম ভিসার নিয়ম কঠোর হওয়ার মধ্যে চীন শীর্ষ প্রতিভাদের আকর্ষণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ১২টি সাধারণ ভিসা ক্যাটাগরির তুলনায় ‘কে ভিসা’ বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে। মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
নমনীয়তা: একাধিক এন্ট্রি সুবিধা, দীর্ঘমেয়াদে থাকা ও কাজ করার সুযোগ।
নিয়োগকর্তার স্পনসরশিপের প্রয়োজন নেই: স্থানীয় নিয়োগকর্তার আমন্ত্রণ ছাড়াই আবেদন করা যাবে।
কার্যকলাপের বিস্তৃত পরিধি: একাডেমিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক বিনিময়ে অংশগ্রহণের সুযোগ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে চীন থেকে ৩৮.০৫ মিলিয়ন বিদেশি ভ্রমণ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০.২% বেশি। এর মধ্যে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ হয়েছে ১৩.৬৪ মিলিয়ন বিদেশির।
প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ ডলারের এইচ-১বি ভিসার তুলনায় অনেক ভারতীয় ও দক্ষিণ এশীয় পেশাজীবী ‘নতুন ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা’ পুনর্বিবেচনা করছেন, কারণ চীনের ‘কে ভিসা’ আরও নমনীয়, দীর্ঘমেয়াদী এবং কম ব্যয়বহুল বিকল্প।