হাইস্কুল পাশের আগে অধ্যাপনা! কেমন ভাবে সম্ভব!
মাত্র আট বছর বয়সে মুম্বই ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেয় সে।
তাঁকে ধরা হয় গড়পড়তা হিসাবের বাইরেই। কারণ, সে ‘বিস্ময় বালক’।
ধ্রুবতারাদের খোঁজে
জটিল সব অঙ্ক সমাধান করা তাঁর কাছে একদম জলভাতের মত। অনেক সময় তাঁর তুলনা হয় আইনস্টাইনের সঙ্গে! বিশ্বের কনিষ্ঠতম অধ্যাপক হয়ে আগেই নজির গড়েছিল। এ বার আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ পড়ুয়া হিসাবে হাই স্কুল পাশ করেও ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে সুবর্ণ বারি।আগামী ২৬ জুন হাই স্কুলের ডিগ্রি হাতে পাবে সুবর্ণ। তবে ইতিমধ্যেই কলেজে ভর্তির ডাক পেয়ে গিয়েছে সে।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের প্রেসবিটেরিয়ান কুইন্স হাসপাতালে সুবর্ণের জন্ম। বয়স মাত্র ১২ বছর এর মধ্যে সে দু’টি বই লিখে ফেলেছে। কঠিন বৈজ্ঞানিক সূত্রের চটজলদি সমাধান করতে সিদ্ধহস্ত সুবর্ণ। মাত্র ছ’মাস বয়সে কথা বলতে শুরু করেছিল। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের জটিল সমস্যার সমাধান শুরু করে দু’বছর বয়সে।মাত্র চার বছর বয়সে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় সুবর্ণ। ছ’বছর বয়সে সে স্বীকৃতি পায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর কাছ থেকে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি’ পুরস্কার পেয়েছে সুবর্ণ।
মাত্র আট বছর বয়সে মুম্বই ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেয়। তাকে নিয়ে তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। এ বার আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ পড়ুয়া হিসাবে হাই স্কুল পাশ করেও ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণ বারি।
সুবর্ণকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্বের সবাইকে গণিত এবং বিজ্ঞান বুঝতে সাহায্য করতে চাই আমি। আমার লক্ষ্য এক জন অধ্যাপক হওয়া এবং প্রয়োজন সকলকে সাহায্যের চেষ্টা করা।’’
জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হলেও পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় থাকে সুবর্ণ । গণিত এবং পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য সুবর্ণকে পূর্ণ বৃত্তি দিচ্ছে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে সুবর্ণকে নিয়ে বিশেষ মাতমাতি করতে নারাজ তার বাবা-মা। রশিদুল এবং শাহেদার মতে তাঁদের পুত্র অনন্য। সে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
Like this:
Like Loading...