মধুচন্দ্রিমা, বিয়ে পরবর্তী এমন এক আয়োজন, যা নব দম্পতির মানসিক বোঝা-পড়ায় বেশ অবদান রেখে থাকে। মধুচন্দ্রিমা এখন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন বিয়ে পরবর্তী গোছানো জীবনের অনুষঙ্গ। আর্থিক সামর্থের উপর নির্ভর করে প্রেয়সীর হাতে হাত রেখে দু-চারটা দিন কোথায় কাটাবেন, দেশে না বিদেশে?
আমাদের এই সুজলা-সুফলা, শ্যামল-সুন্দর বাংলাদেশেই রয়েছে অনেক অনেক সুন্দর জায়গা। এরকম অনেক অনেক সুন্দরতম আকর্ষণীয় জায়গার মধ্যে আজ মাত্র তিনটি জায়গার নাম দেওয়া হলঃ
৩। সাজেক ভ্যালি: তৃতীয় যে জায়গাটি মধুচন্দ্রিমা উৎযাপনের জন্য স্মৃতির আঙ্গিনায় জলজল করবে তা হলো বর্তমানে সেরা পর্যটন স্পট – ঢেউ খেলানো পাহাড়ের গায়ে গড়ে তোলা সাজেক ভ্যালি। যারা কিছুদিন হল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু ঠিক করেননি কোথায় যাবেন মধুচন্দ্রিমা উৎযাপনে, তারা আর অন্য কোথাও চিন্তা না করে ছুটে যান রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি। সাজেকের বর্ণনা আমি না হয় নাই দিলাম। আপনি নিজে গিয়েই দেখুন না সাজেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মিজোরাম পাহাড় থেকে জেগে উঠা সূর্যোদয়!
৪। নেত্রকোনা: ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রকৃতির রানী নেত্রকোনা। মধুচন্দ্রিমার রোমাঞ্চ করতে গিয়ে কেউ আর ইতিহাস ঐতিহ্যের খোঁজ করবে না। করারও কথা না, তাই তাদের জন্য নেত্রকোনা জেলার সু-সং দূর্গাপুর হল বেষ্ট হিট। সোমেশ্বরী নদীর পাড়ে কিংবা চিনামাটি পাহাড়ের পাদদেশে, একান্তে দুজনে কাটিয়ে দিন না অনেকগুলো সোনালি সময়।
৫। শ্রীমঙ্গল: মৌলভী বাজার জেলার চা পাতার দেশ শ্রীমঙ্গল। চা বাগানের মাঝে কোন রিজোর্টের ব্যালকানিতে কিংবা খোলা প্রান্তরে দুজন দুজনার হয়ে যাবার জন্য রয়েছে বেশ সুযোগ, আরো রয়েছে নীলপদ্ম ফোঁটা প্রকৃতির অপার নিয়ামত মাধবপুর লেক। যেখানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেয়সীর সান্নিধ্যে কাটিয়ে দিন নিশ্চিন্তে।
Like this:
Like Loading...