শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

দেবে যাচ্ছে নিউইয়র্ক! বন্যার ঝুঁকি বাড়ছেই

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

ভয় জাগানিয়া তথ্য বটে। একটি জরিপ বলছে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক তার বুক জুড়ে গড়ে ওঠা আকাশচুম্বি ভবনগুলোর ওজন আর বইতে পারছে না। ফলে ক্রমাগত নিচে দেবে যাচ্ছে এই নগর। ইএস জিওলজিক্যাল সার্ভে ও ইউনিভার্সিট অব রোড আয়ল্যান্ডের ভূ-বিজ্ঞানীরা এই জরিপ চালিয়েছেন। তাদের প্রতিবেদন বলছে, চারিদিকে জলাশয়ে ঘেরা এই নগরী তার অসংখ্য আকাশচুম্বী ভবনের ওজন নিতে পারছে না। ফলে পানির স্তরের নিচে নেমে যাচ্ছে গোটা নিউইয়র্ক। গবেষকরা অধগমন বা অবনমন শব্দই ব্যবহার করেছেন এর ব্যাখ্যায়।

নিউইয়র্ক পোস্টের একটি খবরে বলা হয়েছে, অন্তত ১০ লাখ ভবনের নগর এই নিউইয়র্ক। যার মোট ওজন প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন পাউন্ড। আর সে ওজন পানিবেষ্টিত ভূ-ভাগের জন্য বাড়তি হয়ে উঠেছে।

গবেষণালব্ধ এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘আর্থস ফিউচার’ জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর নিউ ইয়র্ক সিটি এক থেকে ২ মিলিমিটার করে নিচে দেবে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে মাটির নিচের দিকে চলে যাচ্ছে লোয়ার ম্যানহাটান। ব্রুকলিন এবং কুইন্স নিয়েও আশঙ্কা একই।

ইউএসজিএস’র শীর্ষ গবেষক এবং ভূ-বিজ্ঞানী টম পারসন্স তার গবেষণা রিপোর্টে আরও লিখেছেন, বড় রকম বন্যার ঝুঁকিতেও রয়েছে নিউইয়র্ক।

নিউইয়র্ক নিজে দেবে যাওয়ার পাশাপাশি পানির স্তর বেড়ে যাওয়াও এসব আশঙ্কার মূল কারণ। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূলে ৩ থেকে ৪ গুন বেশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে। ফলে এখানে গাদাগাদি করে বসবাস করা ৮৪ লাখ মানুষকে নানা রকম ক্ষতিকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

এমন একটি গবেষণা প্রতিবেদনের পর ক্রমবর্ধমান বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধে কৌশল নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা মি. পারসন্সের।

তিনি আরও বলেন, গবেষণাপত্রে এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর গবেষণায় বলা হয়েছে, আটলান্টিক উপকূলে, নদীর পাড়ে বা লেকের ধারগুলোতে আরও আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ করলে বন্যার ঝুঁকি বাড়তেই থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com