রোবোকার নিয়ে এতদিনকার সব আলাপ ছিল কোম্পানির অধীনে পরিচালিত বহরভিত্তিক। শিগগিরই দুবাইয়ের বাসিন্দারা ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে সর্বশেষ প্রযুক্তির এ গাড়ি নিজের গ্যারেজে রাখতে পারবেন। শীর্ষস্থানীয় এআই কোম্পানি টেনসর উন্মোচন করতে যাচ্ছে টেনসর রোবোকার।
এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন লেভেল ফোর চালকবিহীন গাড়ি।
চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ফর সেলফ-ড্রাইভিং ট্রান্সপোর্টে’ গাড়িটির উন্মোচন হবে। প্রচলিত বাহন বা ইভিতে চালকবিহীন ড্রাইভিংয়ে রূপান্তর হলো গাড়ির তৈরির পরের ধাপ। টেনসরের রোবোকার শুরু থেকেই সম্পূর্ণ চালকবিহীন গাড়ি হিসেবে তৈরি হচ্ছে।
শতাধিক সেন্সর সমন্বিত এ রোবোকারে রয়েছে ৩৭টি ক্যামেরা। আরো থাকবে লেজার ব্যবহার করে আশপাশের এলাকা, বস্তু ও দূরত্ব মাপতে পারে এমন পাঁচটি লিডার ও ১১টি রাডার। রোবোকারে থাকছে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় পূর্ণাঙ্গ ব্যাকআপ, এতে যেকোনো পরিস্থিতিতে গাড়িটি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
টেনসরের চিফ মার্কেটিং অফিসার এমি লুকা বলেন, ‘আমরা টেনসরকে দুবাইয়ে নিয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত। এ শহর উদ্ভাবন ও অগ্রগামী চিন্তার প্রতীক। আমাদের গাড়িটি কোনো কনসেপ্ট ডিজাইন নয়—এটাই বিশ্বের প্রথম বাস্তব ব্যক্তিগত রোবোকার।’ এ রোবোকার পরিচালিত হবে টেনসর ফাউন্ডেশন মডেলের মাধ্যমে। এটি বাস্তব ও সিমুলেটেড ডাটাসেট বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়। এর দ্বৈত এআই সিস্টেম মানব মস্তিষ্কের অনুকরণে কাজ করে।
সিস্টেম-১ দ্রুত ও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়, সিস্টেম-২ জটিল ও বিরল পরিস্থিতিতে বহুমাত্রিক সম্ভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করে। মরুভূমি ও বালিময় পরিবেশের জন্য সেন্সর পরিষ্কারকরণ ব্যবস্থা ও প্রতিরক্ষামূলক কভার, চালকবিহীন পার্কিং ও চার্জিং, অফলাইন অবস্থায়ও ডাটা বিশ্লেষণ করতে পারে টেনসরের রোবোকার।
এতে গোপনীয়তা সুরক্ষায় রয়েছে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা। টেনসরের বৈশ্বিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত কিছু প্রযুক্তি সংস্থা। যেমন এনভিডিয়া, সনি, ভিনফাস্ট ও ওরাকল। এছাড়া বিশ্বের প্রথম রোবোকারে বীমা পরিষেবা দেবে মার্শ।
আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দুবাইয়ের গ্রাহকরা টেনসর রোবোকার নিজেদের গ্যারেজে দেখতে পাবেন।