একবার ঢাকায় বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কালো ধোঁয়ার যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে কোথাও গিয়ে নির্মল বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে সবাই ছটফট করছিলাম। এমনিতেই আমরা ঘুরবাজ মানুষ, একটু ফুসরত পেলেই
শীত আসছে। আর এই শীতে প্রকৃতির রুপের পরিবর্তনের সাথে সাথে জাফলং এর রূপের ও পরিবর্তন হয়। শীতকাল, তাই ডাউকি অগভীর, মৃদু শান্ত। অথচ বর্ষা আসলেই এর রূপ পালটে যায়। আসছে
নতুন রূপে সেজেছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা। আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকতের পাঁচ কিলোমটার এলাকা জুড়ে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। এতে এলাকাটিতে বেড়েছে দর্শনার্থীর ঢল। পর্যায়ক্রমে এ সৈকতটিকে
লেখাপড়া ও কর্মব্যস্ততা প্রত্যেকের জীবনকেই একঘেয়ে করে তোলে। শরীর ও মন যেন আর চলতে চায় না। তাই দুটোকেই সুস্থ রাখার জন্য চাই বিনোদন। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে
দেশে দেখার মতো জায়গা সমুদ্র-পাহাড়-দ্বীপ — সব পর্যটন আকর্ষণই আছে বাংলাদেশে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে দেখা মেলে হিমালয় পর্বতমালার রূপ। যাদের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কিংবা ঐতিহাসিক স্থান চষে বেড়াতে ভালো লাগে,
বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতাসহ ভুবনবিখ্যাত অনেক পর্যটকই সন্দ্বীপের প্রেমে পড়েছিলেন বলে শোনা যায়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কবি কাজী নজরুল ইসলামও মুগ্ধ হয়েছিলেন। সন্দ্বীপের প্রেমে না পড়ে উপায় আছে! ভাঙতে ভাঙতে
ফুলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ ও ভালোবাসা চিরন্তন। তাই আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের মধ্যে এক টুকরো ফুলের রাজ্য গদখালী থেকে। সকালে ফুলের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখতে পারেন। যশোর জেলার
আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল ঠিক আলাদা করা যাচ্ছে না। দুটোই সমান পাল্লা দিচ্ছে চোখ তাতিয়ে দিতে। একটা নারকেলগাছও যে এত আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল ঠিক আলাদা করা যাচ্ছে
পাহাড়কন্যা বান্দরবান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী বান্দরবান দেশের সব জেলার ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সুপরিচিত নাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ছুটে যান। নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা,
বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে ছড়িয়ে আছে থানচি উপজেলা। এখানে আছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝিরি-ঝরনা। পর্যটকদের জন্য আছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা অনেক পর্যটনকেন্দ্র। একসঙ্গে এত বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য সম্ভবত পার্বত্য অঞ্চলে