শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম বাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে কেন

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে বাড়ছে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা। প্রতি ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিই বিদেশি শ্রমিক নিতে আগ্রহী। কান্ট্রি এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম অপারেটরের জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। তবে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ও ভাষাগত দুর্বলতাসহ বেশ কিছু কারণে নিয়োগকর্তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় নেই বাংলাদেশি কর্মীরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে বাড়ছে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা।

বিদেশি শ্রমিকদের পছন্দের দেশের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম। আর্থিক নিরাপত্তা আর কর্ম পরিবেশের কারণে সুনাম আছে দেশটির।

দক্ষিণ কোরীয় শ্রমবাজার নিয়ে সম্প্রতি এক জরিপ চালায় কান্ট্রি এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে দেখা যায়, শ্রমবাজারে বাড়ছে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিদেশি কর্মীরা দক্ষিণ কোরীয়দের তুলনায় বেশি পরিশ্রমী। তাদের চাকরি ছেড়ে দেয়ার হারও অনেক কম। জরিপে অংশ নেয়া পাঁচশর বেশি প্রতিষ্ঠানের ৭৩ শতাংশ বলছে, স্থানীয়দের চেয়ে বিদেশি শ্রমিকদের বেতনের চাহিদা কম হওয়ায় তাদের নিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে কোম্পানিগুলোর। প্রতি ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিই বিদেশি শ্রমিক নিতে আগ্রহী বলে জানায় কান্ট্রি এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্ম।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশিরা। সাংস্কৃতিক পার্থক্য ও ভাষাগত দুর্বলতাসহ বেশ কিছু কারণে নিয়োগকর্তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় নেই বাংলাদেশি কর্মীরা।

বাংলাদেশি প্রশিক্ষক কেবিজ দক্ষিণ কোরিয়ার শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোম্পানিতে গিয়ে যদি দেখি থাকার জায়গাটা ভালো নয় বা আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম তেমনটি হয়নি। কাজটিও আমার মনঃপূত হয়নি। কিন্তু তারপরও যদি আমরা ধৈর্য ধরে বারবার প্রতিদিন যাই তাহলে এগুলো সমাধান হয়ে যায়। যেখানে আমি পরিবশে খাপ খাওয়াতে পারছি না চেষ্টা করলে পরিবেশ খাপ খাওয়াতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া থাকার জায়গা যদি সমস্যা থাকে এক সময় নিজেই এটা সমাধান করা যেতে পারে। আমার কাজ, আচরণের পারফরমেন্স ভালো থাকলে মালিক পক্ষই একসময় সহযেগিতা করবেন।’

বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, ভিয়েতনামসহ ১৬টি দেশ থেকে এমপ্লোয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএসের মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিটি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগে কোটার ব্যবস্থা আছে। যার মাধ্যমে বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পান দেশটিতে। আরও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বিধিমালার পরিবর্তন চায় দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ কোম্পানি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com