দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল বা সওল। বিশ্বের দশম বৃহত্তম মহানগরী। কোরীয় উপদ্বীপের বৃহত্তম শহর। এশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর অন্যতম। রাজধানী হবার সুবাদে এটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে।
শহরের অধীনে ২৫টি অঞ্চল আছে। আয়তন প্রায় ৬০৫.২৫ বর্গকিলোমিটার। বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম। যদিও দেশটির মোট আয়তনের ০.৬ শতাংশ, তবুও শহরের জিডিপি সারা দেশের মোট জিডিপি’র ২১ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য মূল্যসূচকে বিশ্বের পঞ্চম স্থান সিউল। এটি একটি আধুনিক ডিজিটাইজড শহর। ইন্টারনেটের গতি ও ইন্টারনেট সুযোগ-সুবিধার বিচারে বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে এ শহর।
সিউলে প্রাণপ্রাচুর্য্যে ভরা মানুষ, আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। এখানে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
আবহাওয়া
সিউলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বসন্ত ও শরতকালে বৃষ্টিপাত কম। তখন আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে উষ্ণ থাকে। সময়টা পর্যটকদের জন্য সেরা। গ্রীষ্মকাল অর্থাত্ জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মাসিক গড় তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। তখন বৃষ্টিপাত বেশি হয়। শীতকাল অর্থাত্ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা -৫ থেকে ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।
আন্তর্জাতিক ইভেন্ট
১৯৮৬ সালে সিউল সাফল্যের সাথে এশীয় গেমস আয়োজন করে। ১৯৮৮ সালে শহরে অনুষ্ঠিত হয় গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস্। ২০০২ সালে জাপানের টোকিও’র সাথে যৌথভাবে বিশ্ব কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সিউল।