থাইল্যান্ড বলতেই আমরা মানে বাংলাদেশিদের মনে প্রথমেই আসে মাসাজ, ওয়াকিং স্ট্রিট, শপিং আর অবাধ যৌনকর্ম । কিন্তু থাইল্যান্ডের অপূর্ব সৌন্দর্যময় প্রকৃতির কথা কেনো যেনো বাংলাদেশিরা আলোচনা করে না। আমার কাছে মনে হয়েছে থাইল্যান্ড বেড়ানোর জন্য একটি পারফেক্ট জায়গা। এখানে সবার জন্য সবকিছু আছে, আপনাকে খুঁজে নিতে হবে আপনি কি চান। আর আপনার পছন্দমতো সঠিক জায়গাটি আপনাকে বেছে নিতে হবে। আপনি পার্টি চাইলে আপনি পার্টির জায়গায় যাবেন আর প্রকৃতি চাইলে প্রকৃতির মাঝে যাবেন। পছন্দ আপনার।
এখানে যেমন অপুর্ব সুন্দর নীল পানির আন্দামান সমুদ্র রয়েছে, তেমনি রয়েছে হাইকিং এর জন্য পাহাড়, জঙ্গল। অপুর্ব সুন্দর সব লেগুন আর বিচ। চোখ জুড়ানো সবুজ আর দারুন সব ফল। আমরা গিয়েছিলাম ক্রাবি আইল্যান্ডে আর ফিফি আইল্যন্ড এ। ফিফি মুলতঃ ক্রাবিরই একটি অংশ। মুল ক্রাবি শহরের বিচ এর নাম হলো আওনাং। আমরা আওনাং এর পাশেই ছিলাম।
এখানকার অধিকাংশই মুসলিম। অধিকাংশ দোকানে, টুকটুক কিংবা রেস্টুরেন্টে নারীদেরকেই দেখলাম। কেউ হিজাব পরা আবার কেউ শর্টস। কিন্তু অধিকাংশ টুরিস্টরা সাদা হওয়াতে নারীরা মুলতঃ বিকিনি কিংবা সংক্ষিপ্ত পোষাকেই পথে ঘাটে বিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ তাদের দিকে একবারও ফিরে তাকাচ্ছে না বা টোন করছে না। যে যার মতো চলছে। ক্রাবি মুলতঃ কিছুটা শান্ত, কিছু রেস্টুরেন্টে পার্টি হয় রাতভর তবে সব জায়গায় না।
ফিফি খুবই ছোট একটি আইল্যান্ড। ফিফিতে কোন যানবাহন নেই।একমাত্র যানবাহন হলো লংটেল নৌকা। শহরে চলার জন্য পাই সম্বল। পাহাড় ঘেরা ছোট্ট আইল্যান্ড ফিফিতে হোটেলগুলো অধিকাংশই পাহাড়ের উপর। আমাদের কটেজটিও ছিলো পাহাড়ের কোলে। ফিফিতে লোকাল মানুষের থেকে টুরিস্টের সংখ্যা বেশি মনে হয়েছে আমার। পুরো শহর জুড়ে রেস্টুরেন্ট, দোকান আর হোটেল। এখানে রাস্তার ধার জুড়ে মদ আর গাজা বিক্রি হয়। তবে কোলাহল নেই কোনো। শান্ত, স্নিগ্ধ। রাতে একটি বিচ হোটেলে পার্টি হয় বাকি বিচগুলো শান্ত থাকে।
আমার কাছে ক্রাবি এবং ফিফি দুটোই অসাধারণ লেগেছে। মানুষগুলো অনেক হেল্পফুল। ভাষাগত একটা সমস্যা আছে, খুব একটা ইংলিশ থাই লোকালরা বোঝেনা। কিন্তু কাজ চালিয়ে নেয়াই যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর থাইল্যান্ড একটি পারফেক্ট পর্জটক স্থল সবার জন্যই। আপনাকে আপনার পছন্দ ও রুচিমতো জায়গাটি খুঁজে নিতে হবে শুধুমাত্র।