থাকে পূর্ব এসে পশ্চিমের সাথে মিশেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে। ইস্তাম্বুলের একাংশ এশিয়ায় আর বাকিটা ইউরোপের অংশ। একে বলা হয় আন্ত:মহাদেশীয় শহর। ১৯২৩ সালে কামাল আতাতুর্ক আঙ্কারায় তুরস্কের রাজধানী সরিয়ে নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ বছর রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করেছে ইস্তাম্বুল।
মারমারা সাগর এবং কৃষ্ণসাগরকে যুক্ত করা বসফরাস প্রণালীর দু’পড়ে গড়ে উঠেছে ইস্তাম্বুল শহর। বসফরাস প্রণালীর পূর্বের ইস্তাম্বুল এশিয়া আর বসফরাস প্রণালীর পশ্চিমের ইস্তাম্বুল ইউরোপের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপ আর এশিয়ার সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে সেখানে। রেশম বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ সিল্ক রুটের অংশ হওয়ায় সবসময়ই ইস্তাম্বুলে নানা সংস্কৃতির মানুষের আনাগোনা ঘটেছে। এছাড়া সমুদ্রবাণিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ ছিল বসফরাস প্রণালী।
খ্রিস্টের জন্মের আগে থেকে গ্রিকরা আজকের ইস্তাম্বুল শাসন করেছে। ১৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমানদের দখলে চলে যায় শহরটি আর ১৪৫৩ সালে অটোমানদের দখলে চলে যাওয়ার পর অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। এ দীর্ঘ সময়ে কখনো বাইজানটিয়াম আর কখনো কনস্টান্টিনোপল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সর্বশেষ অটোমানদের দখলে যাওয়ার পর এর নাম করণ করা হয় ইস্তাম্বুল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়। ১৯২৩ সালে কামাল আতাতুর্ক রাজধানী আঙ্কারায় সরিয়ে নিলেও ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলের গুরুত্ব থেকে যায়।
আজকের ইস্তাম্বুলে ছড়িয় ছিটিয়ে রয়েছে বাইজানটাইন, রোমান আর অটোমান শাসনের অসংখ্য নিদর্শন। পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলের উপদ্বীপ এলাকা যেখানে ইউনেস্কো ঘোষিত চারটি হেরিটেজ সাইট রয়েছে।