তিনি জানিয়েছেন, অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমনের হার বেড়ে গেলেও শ্রমবাজারের শূন্যতা পূরণ করতে অনথিভুক্ত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রেসিডেন্স পারমিটধারীদের নিয়মিত করার কথা ভাবছে গ্রিস সরকার৷
দেশটির রাষ্ট্রীয় বেতারে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, কৃষি, নির্মাণ ও পর্যটন শিল্পে কর্মী সংকট দূর করতে অন্তত তিন লাখ অনথিভুক্ত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রেসিডেন্স পারমিটধারীদের বৈধতা দেয়া হতে পারে৷
২০২০ সালের ইটালির নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকেই গ্রিসের বর্তমান সরকার অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা দিতে চায়৷ গ্রিসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন দেশটির মধ্য ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস৷ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা৷ বৈঠকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে৷
অভিবাসনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আরও বেশিসংখ্যক অনিয়মিত (অভিবাসী) প্রবাহের জন্য নতুন প্রণোদনা তৈরি করতে চাই না৷ কারণ এটি বিপজ্জনক৷ অন্যদিকে, আমরা কালো থেকে সাদাতে যেতে চাই৷ অঘোষিত থেকে ঘোষিত শ্রমে যেতে চাই৷ কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে শ্রম ঘাটতি মেটাতে চাই৷’’
কাইরিদিস বলেছেন, কর্মী সংকটে গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকিতে একটি পাতাল রেল নির্মাণ এবং ক্রিটে দ্বীপে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণসহ কয়েকটি জনসংশ্লিষ্ট প্রকল্প ধীর গতিতে এগোচ্ছে৷
তুরস্ক হয়ে অভিবাসী আসার হার যখন বেড়ে গেল, তখনই এমন পরিকল্পনার কথা জানাল গ্রিস সরকার৷ এমনকি, মঙ্গলবারও গ্রিসের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি দ্বীপ থেকে শখানেক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামোস দ্বীপের কাছে ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা৷ এই ৪৫ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, নয় জন নারী, ১৪ জন কিশোর ও আট জন কিশোরী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে কেউ নিখোঁজ হয়নি বলে জানা গেছে৷
গ্রিক কোস্ট গার্ড আরো জানিয়েছে, লেসবোসে অপর একটি নৌকা থেকে আরো ৫৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ একইদিনে, কোস দ্বীপ থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে৷
সাম্প্রতিককালে অভিবাসী আগমনের হার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি আর্থিক সহায়তা চেয়েছে গ্রিস৷