বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও মৈত্রীর বন্ধন দীর্ঘদিনের। ব্যবসায়িক কারণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবার জন্য দুই দেশের মানুষের আসা-যাওয়াও রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে একাধিক বাস পরিষেবাও। এর মধ্যে ভারতের রাজ্য পরিবহন নিগম ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসির উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে রয়েছে সরকারি বাস পরিষেবা।
১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে প্রথমবার যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া আগরতলা সীমান্ত দিয়ে কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয়েছিল ৬ জুন ২০১৫। নিয়মিত এ বাস পরিষেবা চালু থাকলেও মাঝে করোনার কারণে কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২২ সাল থেকে আবার এ বাস পরিষেবা চালু হয়।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পরিবহন নিগমের উদ্যোগে প্রতি সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার কলকাতা থেকে ঢাকার মধ্যে বাস চলাচল করে। সকাল ৭টায় কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। ৮ থেকে ৯ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছানো যায়। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে বাস ঢাকায় পৌঁছায়।
অন্যদিকে ঢাকার কমলাপুরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চলাচল করায় অনেক কম সময়ে যাতায়াত করা যায়।
ঢাকা থেকে কলকাতার বাস ভাড়া নেওয়া হয় ১৪০০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকা আগরতলা কলকাতার বাস ভাড়া নেওয়া হয় ১৮০০ টাকা।
ঢাকা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত হয়েও কলকাতার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এ ছাড়া রোববার ছাড়া অন্য দিনগুলোতে ঢাকা থেকে কলকাতা বাস চালু থাকে। যাতায়াতে সময় লাগে প্রায় ১২ ঘণ্টা।