বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। শীত ঢাকায় প্রভাব না ফেললেও গ্রামে ঠিকই অনুভব হচ্ছে। এদিনে বেড়াতে যাওয়ার মোক্ষম সময়। যা হারাতে চায় না অনেকেই। তবে বাড়তি সুযোগ এনে দিয়েছে ক্যালেন্ডারের পাতা। এ মাসে বেশ কয়েকটি সুযোগ এনে দিয়েছে বেড়াতে যাওয়ার। সবচেয়ে বড় সুযোগ রয়েছে টানা চার দিন ছুটির।
সাধারণ ছুটির মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনের (বড়দিন) ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর শনিবার। এতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য খুব একটা উপকার না হলেও বেসরকারি চাকরিজীবীরা আগের দিন শুক্রবারসহ ছুটি পাচ্ছেন দুই দিন। আর বড়দিন পড়বে সোমবার। তাই সরকারি চাকরিজীবী কেউ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক দিন ছুটি নিতে পারলেই পেয়ে যাবেন টানা ৪ দিন ছুটি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এসব ছুটি পালন করা হবে। তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
তবে বড়দিনের আগে ও পরের দিন অর্থাৎ ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর রয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। সেক্ষেত্রে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার সুযোগ রয়েছে এ মাসে।