দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সুয়েটো এলাকায় দোকানে ঢুকে জিম্মি করে দুই বাংলাদেশিকে রাতভর নির্যাতনের পর মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে ডাকাত দল। আহতরা বর্তমানে জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৭ জুন (মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে ছয় জনের ডাকাত দল দোকানের ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাত ১টা পর্যন্ত নির্যাতন করে মৃত ভেবে চলে যায়। এসময় রড, হাতুড়ি, পিস্তল ও কাচের কোকের বোতল ভেঙে প্রবাসী মাহফুজ ও শাহীনের মাথা, হাত, মুখ, চোখে উপর্যুপরি নির্যাতন করা হয়।
জানা গেছে, মাহফুজের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আর শাহীনের বাড়ি একই জেলার সেনবাগ উপজেলায়। মাহফুজ ও শাহীন বর্তমানে জোহানেসবার্গে ক্রিস হানি বরগাওয়ানাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সার্বিক দেখাশোনা করছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নোয়াখালী অঞ্চলের একটি কমিউনিটি সংগঠন।
ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের বর্ণনা করে বলেন, বেশি টাকা পাওয়ার আশায় ডাকাতরা নির্যাতন করে শেষমেশ মৃত ভেবে রেখে চলে যায়। আমরা যতবার বলেছি আমাদের কাছে আর বাড়তি টাকা নেই, তারা বিশ্বাস করেনি। তারপরও নির্যাতন করে যাচ্ছিল।
মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে তারা। মাথায় আঘাত ঠেকাতে গিয়ে শাহীনের দুই হাত ও মাহফুজের এক হাত ভেঙে গেছে। শাহীনের মাথায় ১০টি সেলাই করতে হয়েছে। ডাকাতের আঘাতে মাহফুজের বাম চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান হাত ভেঙে গেছে, বামহাতের কব্জির উপরে কেটে যাওয়ায় ছয়টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। তাদের সুস্থ হয়ে ফিরতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানান চিকিৎসক।
দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাম অঞ্চলে বাংলাদেশিরা আহত-নিহত হওয়ার বহু ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। কমিউনিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মাহফুজ ও শাহীনের সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।