যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হলে রাস্তায় নাচার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েল (৪৪)। অভিযোগ আছে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে তার মুখ বন্ধ করিয়েছিলেন ট্রাম্প। কারণ, স্টর্মির সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ম্যানহ্যাটান ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি আলভিন ব্রাগ এ অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে নিজেই স্বীকার করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান সমর্থকদের প্রতি। পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের এই সম্পর্কের খবর নতুন নয়। তিনি ২০১৬ সালের আগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন স্টর্মি ডানিয়েল। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ওই অর্থ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
কারণ, ট্রাম্প চেয়েছিলেন তার এই সম্পর্কের কথা যেন প্রকাশ না পায়। তাহলে নির্বাচনে তার বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া তার ঘরে তখন মডেল স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনিও এতে নাখোশ হতে পারেন। হয়েছিলেনও। মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, খবর ফাঁস হওয়ার পর মেলানিয়া বেশ কয়েকদিন একটি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন।
নতুন করে যখন আবার আলোচনায় স্টর্মি ডানিয়েলের নাম, তখন ট্রাম্পের অনেক সমর্থক তাকে নিয়ে তিরস্কার করেছে। একজন টুইটে বলেছেন, একজন নিন্দনীয় পতিতা একজন নিরপরাধ মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। এরপর তিনি রাস্তায় হেঁটে বেড়ালে তা ভালই হবে। তিনি ট্রাম্পকে ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভূমিধস জয় পাবেন।
এর জবাব দিয়েছেন স্টর্মি ডানিয়েল। তিনি বলেছেন, নিজেকে নির্দোষ সাজাতে তিনি আমাকে অর্থ দিয়েছিলেন। তিনি যতটা নিরক্ষর, আপনারা তার চেয়েও বেশি বোকামি দেখাচ্ছেন। আর আমি হাঁটবো না। যখন ট্রাম্পকে জেলে পাঠানোর জন্য নির্দেশ হবে তখন আমি রাস্তায় নাচবো। এর আগে ট্রাম্পের পুরুষত্বকে অবমাননা করে তাকে ‘টাইনি’ ট্রাম্প হিসেবে অভিহিত করেন স্টর্মি ডানিয়েল।
জবাবে ট্রাম্প তাকে ‘হর্সফেস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে বলেন, মার এ লাগোতে তল্লাশি, অনির্বাচিত কমিটি প্রতারণা, জর্জিয়ার ফোনকল- যেটাই হোক, স্টর্মি হলো ‘হর্সফেস’। তারা সবাই অসুস্থ। এসবই ভুয়া খবর। আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে থামাতে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। কারণ তারা জানে, আমরাই তাদেরকে থামিয়ে দিতে পারি।