একজন ট্রাভেল গাইড অচেনা কোন জায়গা ভ্রমণ বা ঘোরার ক্ষেত্রে পর্যটকদের সাহায্য করেন। ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করলে আর অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি আগ্রহ থাকলে এ পেশায় আসতে পারেন আপনিও।
সাধারণ পদবী: ট্রাভেল গাইড
বিভাগ: ট্যুরিজম
প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
পেশার ধরন: পার্ট-টাইম, ফুল-টাইম
লেভেল: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০
সম্ভাব্য বয়স সীমা: ১৯ – ৩৫ বছর
মূল স্কিল: ভ্রমণের আগ্রহ, ম্যাপ ব্যবহারে দক্ষতা, কম্পাসের ব্যবহার জানা
বিশেষ স্কিল: যোগাযোগের দক্ষতা, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ
উল্লেখ্য যে, আপনি নিজের উদ্যোগেও ট্রাভেল গাইডের কাজ করতে পারেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হাই স্কুল/কলেজ পাশ। বিদেশী পর্যটকদের বেলায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী বা স্নাতক ডিগ্রি চাওয়া হতে পারে।
বয়স: সাধারণত ১৯ – ৩৫ বছর হতে হবে আপনাকে।
অভিজ্ঞতা: বিশেষ কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না।
বিদেশী পর্যটকদের ঘোরানোর দায়িত্ব পাবার জন্য ইংরেজিতে পারদর্শিতা আবশ্যক।
ট্রাভেল গাইড হতে হলে সার্টিফিকেট কোর্সে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট কোর্সগুলো আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি আপনার জানার পরিধিও বাড়াতে পারবেন এগুলোর মাধ্যমে।
কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ।
দৈনিক চুক্তিতে কাজ করেন এমন ট্রাভেল গাইডের দৈনিক আয় সাধারণত ৳৫০০ – ৳২,০০০। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বহু ট্রাভেল গাইড আছেন প্রতিদিন ১০০ মার্কিন ডলার চুক্তিতে কাজ করেন। সাধারণত মাসিক আয় ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে হয়।
কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রথম ছয় মাসের জন্য একটি মাসিক সম্মানী নির্দিষ্ট থাকে (ধরা যাক, ৳১২,০০০)। ছয় মাস আপনি পূর্ণ করতে পারলে সম্মানী বাড়ানো হয় (পূর্বের হিসাবের ক্ষেত্রে ধরা যাক ৳১২,০০০ থেকে বেড়ে ৳১৫,০০০)।
এ পেশায় নির্দিষ্ট কোন পদোন্নতি নেই। হোটেল আর ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে কাজ করলে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রাভেল ম্যানেজার পদে নিয়োগ পেতে পারেন। তবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই।