সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৬০ দিন করা হচ্ছে। এক খবরে বলা হয়েছে, পর্যটকরা দেশটির কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬০ দিন বাড়াতে পারবে। দেশটি জানিয়েছে, যারা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ না বাড়িয়ে দেশটিতে অবস্থান করবে, তারা জরিমানার পাশাপাশি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে পারেন।
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে যে পর্যটকদের জন্য ১০ দিনের ভিসা গ্রেস পিরিয়ড ছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। ভিসা গ্রেস পিরিয়ড হলো মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থানে শিথিলতার নীতি। অর্থাৎ এখন আর ভিসার মেয়াদ না থাকলে কোনোভাবেই দেশটিতে অবস্থান করার অনুমতি থাকছে না। এখন ভিসার মেয়াদ শেষ হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হবে। তবে পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া আগে থেকে করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ ধরনের অপরাধ শনাক্তে নিয়মিত অভিযান চালায়। মেয়াদ না থাকা সত্ত্বের দেশটিতে অবস্থান করলে দিনপ্রতি ৫০ দিরহাম জরিমানার পাশাপাশি গ্রেফতারের বিধানও রয়েছে তাদের। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে থাকতে চাইলে কোনো ধরনের জরিমানা ছাড়াই মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্স ইন দুবাই বলছে, যেসব পর্যটক ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় দেশটিতে অবস্থান করতে চান, তারা চাইলে ৩০ দিনের এক্সটেনশন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। একজন পর্যটক এ ধরনের এক্সটেনশন সুবিধা সর্বোচ্চ দুবার পাবেন। অর্থাৎ প্রথমবার বাড়ানো মেয়াদের পর চাইলে আরো ৩০ দিন মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখছে দেশটি।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এজন্য কিছু কাগজপত্রের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। ভিসাধারীকে অবশ্যই তাদের মূল ভিসা ও কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্টকে দিতে হবে। এছাড়া আইসিপি বা জিডিআরএফএ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ভিসার মেয়াদ এক্সটেনশনের আবেদন করা যাবে।
তবে দেশটিতে ১৮ বছরের নিচে কোনো নারী একা পর্যটক ভিসার আবেদন করতে পারেন না। এক্ষেত্রে তার বাবা-মায়েরও তার সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক।