ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পর্যটক চাহিদা বিবেচনায় নেওয়া ট্যুরিস্ট ট্রেন কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। এর পরিবর্তে ৫৪টি মিটারগেজ কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (৮ জুলাই) পরিকল্পনা কমিশনে এ সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রকল্পের প্রিলিমিনারি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল নিয়ে পর্যালোচনায় প্রকল্পের নাম সংশোধনসহ ট্যুরিস্ট ট্রেন কেনার পরিবর্তে নতুন কোচ সংগ্রহ করতে বলা হয়। বর্তমানে এ রুটে পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চলাচল করছে। চাহিদার তুলনায় ট্রেনের আসন খুবই অপ্রতুল।
এ বিষয়ে রেলওয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, কিছু সংশোধনী দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সে অনুযায়ী কাগজপত্র প্রস্তুত করা হবে। পর্যটকদের যাতায়াতে এসব কোচ কেনা জরুরি।
জানা গেছে, ‘কক্সবাজারগামী পর্যটকগণের যাতায়াতের জন্য ট্যুরিস্ট ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে ৫৪টি যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহ’ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে বৈদেশিক ঋণ হিসেবে। বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এসব কোচে আধুনিক যাত্রী সুবিধা থাকবে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত হওয়ায় বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে কক্সবাজার। পাহাড়ি ভূখণ্ডের কারণেও কক্সবাজার পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান। বর্তমানে চলাচল করা ট্রেন যাত্রী চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নতুন ট্রেন চালু করা জরুরি। এর অংশ হিসেবে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেলওয়ে।