টুইটারের নতুন সিইও কে এই লিন্ডা ইয়াকারিনো

টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী হচ্ছেন লিন্ডা ইয়াকারিনো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক গণমাধ্যম ও এন্টারটেইনমেন্ট মাল্টি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন শাখার সাবেক প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদে আসছেন তিনি। ইলন মাস্ক নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘টুইটারের নতুন শীর্ষ নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনোকে আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারক করবেন, আর আমি মনযোগ দেব (টুইটারের) প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং নতুন প্রযুক্তির ওপর।’

এর আগে এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৪৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় তিনি জানান, টুইটারে নতুন শীর্ষ নির্বাহী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সাল। গত কয়েকদিন ধরেই মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছিল, নতুন চাকরি খুঁজছেন প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন শাখার প্রধান ও অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিন্ডা ইয়াকারিনো। তারপর স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে এনবিসি ইউনিভার্সাল এক ঘোষণায় জানায়, কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন লিন্ডা। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম টুইটটি করেছিলেন মাস্ক।

প্রসঙ্গত, মালিকানা গ্রহণের পর পরই টুইটারের কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন ইলন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৭ মাসে কোম্পানির প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, একের পর এক কর্মীকে ছাঁটাই এবং যাদের চাকরি এখনও আছে— তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করার জেরে বাজারে টুইটারের সুনাম বেশ ক্ষুন্ন হয়। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা একে একে সরে যেতে থাকে, এবং তার প্রভাব পড়ে কোম্পানির আয়ের ওপর। সম্প্রতি মাস্ক নিজেই স্বীকার করেছেন— বিজ্ঞাপন খাত থেকে টুইটারের আয় ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।

তবে লিন্ডা ইয়াকারিনো টুইটারের শীর্ষ নির্বাহীর পদে এলে প্রতিষ্ঠানটির গতিপথ ‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞাপন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মার্কেটিং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান এজেএল অ্যাডভাইসরির শীর্ষ নির্বাহী লউ প্যাসক্যালিস দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কিন বিজ্ঞাপন কোম্পানির শীর্ষ পদে কাজ করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, লিন্ডা ইয়াকারিনো যখন এনবিসি ইউনিভার্সালে ছিলেন— সে সময় বহু চড়াই-উৎরাই তার সামনে এসেছে এবং অনবদ্যভাবে তিনি সেসব পেরিয়ে এসেছেন। টুইটারকে সঠিক পথে আনা এই মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য লিন্ডা একজন উপযুক্ত ব্যক্তি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: