জালিয়াতির ঘটনায় বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে সাদিয়া এখন থেকে দেশে বা বিদেশে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালাতে পারবেন না।
উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে পাইলট লাইসেন্স নেওয়ার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক।
বেবিচক সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার এইচএসসি পরীক্ষার সনদ সংক্রান্ত এক অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনার এটিপিএলের সব সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বিমান থেকেও সাময়িক বরখাস্ত হন ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল বিমান। কিন্তু অভিযোগ আছে সাদিয়া তদন্ত সংস্থার সামনে উপস্থিত না হয়ে গত মাসের শেষের দিকে দেশ ছেড়েছেন।
বেবিচক সূত্র জানায়, সাদিয়া এখন থেকে দেশে বা বিদেশে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, তার সিপিএল প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী পাইলট হওয়ার আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকের সময় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তা স্বত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন।