একজন অভিবাসন বিশ্লেষক বলছেন, যখনই অভিবাসন রুট কঠোর ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে তখন তরুণ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনকারীদের মধ্যে ১৬ থেকে ৪০ বছর বয়সি পুরুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ৷
২০১৯ সালের এই বয়সি পুরুষের আবেদনের হার ছিল ২৬ দশমিক ২ শতাংশ৷ আর ২০২০ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ৷
বিএএমএফ বলছে, এর আগে কম বয়সি পুরুষ আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে ২০১৫ সালে৷ ওই বছর তাদের আবেদনের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ৷ ২০১৬ সালে কিছুটা কমে হয় ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ৷ তবে, ওই সময় পুরো ইউরোপজুড়ে আশ্রয়প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল৷
২০২৩ সালে জার্মানির মোট আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ হলেন পুরুষ৷ তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে নারী-পুরুষের অনুপাত ভারসাম্যপূর্ণ ছিল৷
জার্মান সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশন রিসার্চের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মার্কুস এঙ্গলারের মতে, এই তারতম্যের একক কোনো কারণ নেই৷ এঙ্গলার ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ এবং বিপজ্জনক অভিবাসন পথই লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতার প্রকৃত কারণ৷’’
এঙ্গলারে মতে, তুরস্ক এবং গ্রিসের কঠোর সীমান্ত নীতি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিপীড়নমূলক শাসন এবং নিপীড়ন থেকে পালানোর কাজটিকে আরো বিপজ্জনক এবং ব্যয়বহুল করে তুলেছে৷ ফলে, আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে৷
বিএএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে বয়স বা লিঙ্গের বিষয়টি তাদের নিজ দেশের কারণেও প্রাভাবিত হয়৷ ২০০০ সাল থেকে আফগানিস্তান এবং সিরিয়া ছেড়ে জার্মানিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা আবারো বেড়েছে৷
এই দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা শুরুতে একা আসেন৷ তারপর নিজের একটা ব্যবস্থা হলে পরিবারকে আনার চেষ্টা করেন৷
অন্যদিকে, ইরাকের ইয়াজিদিদের মধ্যে সবাই মিলে দেশ ছাড়ার প্রবণতা দেখা যায়৷ আবার ইউক্রেনীয়দের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে, ইউরোপে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি৷ কারণ, পুরুষেরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চান৷