তংইয়ং সিটি থেকে আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত দ্বীপ বিজিনদো দ্বীপ ফেরিতে যেতে হয়।
চারদিকে নীলাভ জলরাশির মাঝখান দিয়ে ছুটে চলছে আমাদের ফেরি। রহস্যময় দ্বীপটি ‘৪’ আকৃতির! এর মধ্যকার ছোট্ট একটি ল্যান্ডস্কেপ বিভক্ত করে রেখেছে। অবাক করার বিষয় হলো পশ্চিমের সি-বিচ রুপালি বালুতে পরিপূর্ণ ও শান্ত শীতল জলরাশির, অন্যদিকে ল্যান্ডস্কেপের অন্যদিকেই পূর্ব দিকের সি-বিচ, পুরোটাই পাথুরে, কিছুটা উষ্ণ জলরাশির ও শক্তিশালী ঢেউ একে পুরো বিপরীতমুখী করে রেখেছে অন্যটি থেকে। প্রকৃতি কতই না বিচিত্র!!
কোরিয়ায় এ পর্যন্ত অনেক পর্যটন স্পটে ঘুরেছি। প্রতিটি জায়গাকে এদের নাগরিকেরা নিজেদের মতো করে নেয়। আর তাই তো কোথাও ময়লা পাবেন না। আমরাও খেয়েদেয়ে নিজেদের সঙ্গে রাখা ব্যাগে করে সব ব্যবহার করা বোতল ও প্যাকেট নিয়ে ফিরতি ফেরি ধরার জন্য রওনা দিলাম।
পরের দিনে আমাদের টার্গেট ছিল ‘ডারা পার্ক’ ভ্রমণের। এ পার্কের সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে সমুদ্রের নীলাভ জলরাশির মধ্যে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। আমাদের পুরো ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল আনায়া। ছোট্ট এই পরিটি তার আদুরে সব কর্মকাণ্ড দিয়ে সর্বদা মাতিয়ে রেখেছিল আমাদের। তংইয়ং ভ্রমণ শেষে সবাই আবারও ছুটে চললাম নিজেদের শহরের দিকে আবার কর্মব্যস্ত জীবনের সন্ধানে!
বিকাশ রায় গবেষক, বুসান, দক্ষিণ কোরিয়া