পটুয়াখালীতে চালু হয়েছে হয়েছে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট। যেখানে উৎসব আয়োজন হবে, সেখানেই মুখরোচক সব খাবারের সমাহার নিয়ে ছুটে যাবে রেস্টুরেন্ট।
মিনি বাসের মধ্যে কিচেন ও ওপরে অতিথি আপ্যায়নের জন্য করা হয়েছে মনোরম বসার স্থান।
পটুয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ফোরলেন সড়কে চালু হওয়া এ রেস্টুরেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রাইম সুইট অ্যান্ড ফুড’।
পৌর শহরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্মিত সড়কের আলোকসজ্জায় মনমুগ্ধকর পরিবেশের সঙ্গে শহরবাসী ও দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি বিনোদন যোগ করেছে এ রেস্টুরেন্ট।
দেশীয় ও চাইনিজসহ সুস্বাদু সব খাবার মেলে এখানে। তাই এ রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার পর ভিড় করছেন অনেকেই। এ ছাদ খোলা বাসে বসে পছন্দের খাবার খেয়ে খুশি ভোজনরশিক মানুষ।
প্রাইম সুইট অ্যান্ড ফুড নামে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় স্যান্ডউইচ, বার্গার, চিকেন ফ্রাই, নানান ধরনের জুস, সবজিসহ হরেক রকম ফাস্টফুড।
ছাদ খোলা দোতলা বাসের এ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ২৫ জন বসে খেতে পারেন। নিত্য নতুন স্বাদ আর বাহারি খাবারের পসরা নিয়ে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এ রেস্টুরেন্ট।
রেস্টুরেন্টের অতিথি ফারহানা আক্তার জলি বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে বাস রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনের খবর পাই। তখন থেকেই দেখার ও খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। তাই ঈদের পর স্বামীসহ এসেছি। আমি জুস ও চিকেন ফ্রাই খেয়েছি, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এমনিতেই আমরা বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্টে খেয়ে থাকি। কিন্তু বাসের ছাদে বসে এবারই প্রথম খেলাম, খুব ভালো লাগছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, শহরের মানুষ একটু বিনোদন ও ব্যতিক্রমী আয়োজনের অপেক্ষায় থাকে। এ খাবার গাড়ির রেস্তোরাঁ খাবার ও বিনোদন প্রেমীদের পছন্দের একটি রেস্তোরাঁয় পরিণত হয়েছে। আমি নিজেও এখানে খেয়েছি, এখানকার খাবার খুব মজাদার। আর পটুয়াখালীতে এ ভ্রাম্যমাণ খাবারের গাড়ি এটিই প্রথম। তাই সবাই এখানে খেতে আসছে।
গাড়ি রেস্তোরাঁর মালিক ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক বলেন, পটুয়াখালী শহর অনেক সুন্দর ও নান্দনিকভাবে গড়ে উঠেছে। এখানে দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘুরতে আসে। এজন্য আমি ব্যতিক্রমী এ রেস্টুরেন্টটি করেছি। খুব সুন্দর আলোকসজ্জা ও পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। আশা করছি, আমার এ খাবারের গাড়ি সবারই খুব ভালো লাগবে।