বিশ্ব ভ্রমণে উত্সাহী পর্যটকদের কাছে পছন্দের ডেস্টিনেশন হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। ৫৭ লক্ষ মানুষের দেশে ৮০% টিকাকরণ সম্পন্ন। পর্যটন নির্ভর এই দেশের অর্থনীতি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাই টিকাকরণ ৮০% সম্পন্ন হতেই আগামি সপ্তাহ থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর চায়না টাউনে হকারি করে দিন গুজরান করা রুনি এনজি বলেন, ”আগামি সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছি না। যত দ্রুত সম্ভব পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হোক সীমান্ত। আমাদের পসার পর্যটন নির্ভর। সবকিছু বন্ধ অবস্থায় দিনে তিন বার খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ‘ তবে এখনই তাড়াহুড়ো করতে নারাজ সেদেশের সরকার।
এখন মাত্র দুটি দেশ থেকে পর্যটকরা এই দেশে ঢুকতে পারবেন। একটা জার্মানি আর একটা ব্রুনেই। এই দুই দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবং গণটিকাকরণ আশাপ্রদ। আড্ডার জায়গায় মাস্ক পরিধান আবশ্যিক, জমায়েত ছোট থাকতে হবে এবং স্পর্শ চিহ্নিত করার এপ্লিকেশন মোবাইলে ইনস্টল রাখতেই হবে সিঙ্গাপুরবাসীদের। পরিমিত নিয়ন্ত্রণবিধির মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশের কাছে উদাহরণ তৈরী করছে সিঙ্গাপুর। যদিও এই ধরনের সুরক্ষিত পদ্ধতির কারণে পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারে বিলম্ব হতে পারে, তবে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন ।ক্যানবেরা হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট পিটার কলিগনন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর আমাদের কাছে বড় উদাহরণ। কারণ অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরের সংক্রমণ মাত্রা প্রায় এক। আমাদের এই মুহূর্তেই পর্যটকদের জন্য দরজা খুলতে হবে।