শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
Uncategorized

ছন্দে ফিরছে সিঙ্গাপুর

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিশ্ব ভ্রমণে উত্‍সাহী পর্যটকদের কাছে পছন্দের ডেস্টিনেশন হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। ৫৭ লক্ষ মানুষের দেশে ৮০% টিকাকরণ সম্পন্ন। পর্যটন নির্ভর এই দেশের অর্থনীতি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাই টিকাকরণ ৮০% সম্পন্ন হতেই আগামি সপ্তাহ থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর চায়না টাউনে হকারি করে দিন গুজরান করা রুনি এনজি বলেন, ”আগামি সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছি না। যত দ্রুত সম্ভব পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হোক সীমান্ত। আমাদের পসার পর্যটন নির্ভর। সবকিছু বন্ধ অবস্থায় দিনে তিন বার খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ‘ তবে এখনই তাড়াহুড়ো করতে নারাজ সেদেশের সরকার।

এখন মাত্র দুটি দেশ থেকে পর্যটকরা এই দেশে ঢুকতে পারবেন। একটা জার্মানি আর একটা ব্রুনেই। এই দুই দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবং গণটিকাকরণ আশাপ্রদ। আড্ডার জায়গায় মাস্ক পরিধান আবশ্যিক, জমায়েত ছোট থাকতে হবে এবং স্পর্শ চিহ্নিত করার এপ্লিকেশন মোবাইলে ইনস্টল রাখতেই হবে সিঙ্গাপুরবাসীদের। পরিমিত নিয়ন্ত্রণবিধির মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশের কাছে উদাহরণ তৈরী করছে সিঙ্গাপুর। যদিও এই ধরনের সুরক্ষিত পদ্ধতির কারণে পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারে বিলম্ব হতে পারে, তবে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন ।ক্যানবেরা হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট পিটার কলিগনন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর আমাদের কাছে বড় উদাহরণ। কারণ অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরের সংক্রমণ মাত্রা প্রায় এক। আমাদের এই মুহূর্তেই পর্যটকদের জন্য দরজা খুলতে হবে।

এবং এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করোনা এন্ডেমিক পর্যায়ে যায়। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা হতেই পারে।’ এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যান্য দেশ যেমন নিউজিল্যান্ড এবং তাইওয়ানও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছে , কিন্তু তাও তারা সীমান্ত বন্ধ রেখেছে ।ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলা করে নজির গড়েছিল মধ্য এশিয়ার দেশ ইজরায়েল। ৯৩ লক্ষ মানুষের এই দেশ সম্পন্ন করেছিল চূড়ান্ত টিকাকরণ। কিন্তু তারপরেও ডেল্টা হানা দেয় ইজরায়েলে। ফলে নতুন করে কোভিডবিধি চাপাতে উদ্যোগ নেয় সরকার।
এদিকে দৈনিক কোভিড কেস বাড়লেও একের পর এক নিয়ম শিথিল করে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং জানান , ‘ আমি তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় , ধাপে ধাপে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। কারণ লকডাউন করেও সংক্রমণ শূন্যতে আনা সম্ভব নয় ‘। এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরে সংক্রমণ ১০০-র ওপরে ,তবে গুরুতর অসুস্থের হার বেশ কম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯ রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল এবং পাঁচজনকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। আমির খান, যিনি মহামারীর আগে দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং চীন -এর গ্রাহকদের কাছে কার্পেট বিক্রি করেছিলেন, তিনি জানান , এমন দিনও গেছে যখন দোকানে একটিও গ্রাহক ছিল না । খান বলেন, ” দেশের সীমান্ত খোলার গতি যত ধীর হবে আমরা তত বেশি দুর্ভোগের শিকার হব ।”

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget
© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com