দিঘা, মন্দারমণি তো অনেক হল, এবার ঝটিকের বেড়ানোর সেরা ঠিকানা হতে পারে গোবর্ধনপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই নদী ঘেরা দ্বীপের চারিদিকে ঝাউবনের সারি। পাথরপ্রতিমার জি প্লটের এই বেলাভূমি মন কাড়বেই কাড়বে। কোলাহলহীন এই সমুদ্রতটে একবার গেলে ফিরতে আর মনই চাইবে না। সুন্দরবনের নজরকাড়া সৌন্দর্যের সঙ্গে ভরপুর পাওনা সমুদ্র সৈকত। নির্জন এই সমুদ্রতট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে।
ব্যস্ত জীবন থেকে ক্ষণিকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন কাছেপিঠের গোবর্ধনপুরে। কাছের মানুষদের নিয়ে ছোট্ট এই ট্রিপ ভরপুর আনন্দ দেবে। বঙ্গোসাগরের এই পথে চোখ কাড়বে সুন্দরবনের সুন্দরী, গরান, গেওঁয়ার অপরূপ সৌন্দর্য। নৈস্বর্গিক এক আনন্দের স্বাদ নিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই দ্বীপ কিন্তু ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কীভাবে যাবেন গোবর্ধনপুরে?
কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছেঁ গেলেই হবে। তারপর ট্রেন ধরে সোজা কাকদ্বীপ, সেখান থেকে বাসে বা অন্য গাড়িতে চলে যান পাথরপ্রতিমায়। পাথরপ্রতিমা থেকে নদীপথে জি প্লটের চাঁদমারি ঘাটে পৌঁছে যেতে হবে। এই চাঁদমারি ঘাট থেকে সোজা গেলেই গোবর্ধনপুর সমুদ্র সৈকত। গোবর্ধনপুরের সমুদ্রতটটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা এবং চওড়ায় প্রায় ১০ কিলোমিটার। গোবর্ধনপুর আসার পথে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে চোখ রাখতে ভুলবেন না। বেশ কয়েকটি ছোট-ছোট নদীর পাড় ঘেঁষা সেই জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে বেশ কিছু জীব-জন্তুরও।
গোবর্ধনপুরে থাকার জায়গার বন্দোবস্ত কী?
সমস্যাটা এখানেই। এখনও পর্যন্ত এতল্লাটে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার পাকাপাকি কোনও সুবন্দোবস্ত নেই বললেই চলে। তবে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরই বাড়িতে মিলতে পারে থাকা-খাওয়ার সুযোগ। এক্ষেত্রে থাকা-খাওয়া বাবদ টাকা-পয়সার হিসেবটা আগে থেকে বুঝে নিতে হবে। গোবর্ধনপুরে যদি থাকতে না চান, তবে ফিরে এসে পাথরপ্রতিমায় থাকার ভালো বন্দোবস্ত রয়েছে। বেশ কয়েকটি হোটেলে থাকার সুবন্দোবস্ত আছে পাথরপ্রতিমায়।
দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালির বদলে এবার বেড়িযে আসতে পারেন কোলাহলহীন গোবর্ধনপুরে। বঙ্গোপসাগরের এই বেলাভূমি মনে রাখার মতো একটি ট্রিপ হতে পারে। তাই এই পুজোর ছুটিতেই ঘুরে আসুন সে তল্লাটে।