ভারি বর্ষণ অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে চীনে। এর ফলে ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে টানেলে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। এতে টানেলের ভিতরে অনেক যাত্রী আটকা পড়েছেন। কমপক্ষে ১২ জন মারা গেছেন। তারপরও পানি বাড়ছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সান্ধ্যকালীন কমিউটারগুলো শুধু তাদের মাথা পানির উপর ভাসিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তীব্র গতিতে প্লাটফরমের ভিতর পানি ঢুকে যাচ্ছে। এ ঘটনা ঘটেছে হেনান প্রদেশে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, এ সময় ওই টানেল থেকে কমপক্ষে ৫০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই চীনে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে দুই লাখ মানুষকে। ওদিকে টানেলের উপরে ভূ-উপরিভাগে সড়কগুলো নদীর রূপ ধারণ করেছে। এর তীব্র স্রােত বিভিন্ন গাড়ি ও জিনিসপত্র ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু পথচারীকে উদ্ধার করা হয়। হেনান প্রদেশের কমপক্ষে এক ডজন শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্বীকার করেন যে, বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় উল্লেখযোগ্য প্রাণহানী এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু ড্যাম এবং পানি সংরক্ষণাগারে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সতর্কতা মাত্রার ওপরে। যেসব নদীর তীর ভেঙে গেছে, সেখানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। হেনান প্রদেশের অনেক এলাকায় ফ্লাইট ও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝৌতে গত তিনদিনে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা এক বছরের গড় বৃষ্টিপাতের সমান।