গত জুনে নেপালের নতুন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম কোনো ফ্লাইট অবতরণ করে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোখারায় এই বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে চীনা অর্থে।
উদ্বোধনের ছয় মাস পর প্রথম এর রানওয়েতে কোনো বিমান অবতরণ করে। সেটিও এসেছে চীন থেকেই। সিচুয়ান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩১৯ মডেলের বিমানটি প্রথম নামে।
বিমানে থাকা যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল বিমানবন্দরে। ফ্লাইটটিতে ছিলেন চীনের ক্রীড়াবিদ এবং কর্মকর্তারা। তারা একটি প্রীতি ড্রাগন বোট প্রতিযোগিতার জন্য নেপাল এসেছিলেন। চীনা কোম্পানির হাতে এবং চীনের অর্থায়নেই এই ব্যয়বহুল বিমানবন্দর তৈরি করেছে নেপাল। এর মাধ্যমে চীন বড় চুক্তি পেলেও নেপাল বিশাল ঋণে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
দাবি, এর মধ্যদিয়ে নেপাল চীনের ঋণে আরো জড়িয়ে পড়েছে। নেপাল ১৯৭০ এর দশক থেকেই পোখারায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চেষ্টা করছিল।
দেশটির আশা ছিল যে, এই বিমানবন্দর শহরটিকে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলবে। কিন্তু এই প্রকল্পটি গত কয়েক দশক ধরে স্থবির ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, আমলাতন্ত্র এবং অর্থের সমস্যার কারণে আলোর মুখ দেখছিল না পোখারা বিমানবন্দর প্রকল্প। অবশেষে এটি নির্মাণে এগিয়ে আসে চীন। বিশ্বজুড়ে মার্কিন আধিপত্যকে টেক্কা দিতে চীন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে নেপালের বিমানবন্দরও তার একটি।