চাঁদের হিরে পৃথিবীর বুকে! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও তেমনটাই ঘটেছে। ঘটিয়েছে চিন। ঠিক হিরে না হলেও, চাঁদে একটি স্ফটিক বা হিরের মতো দেখতে সম্পূর্ণ নতুন এক খনিজ আবিষ্কার করল চিন। বছর দু’য়েক আগে চিনের চেং’এ-৫ মহাকাশযান যে নমুনা চাঁদ থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিল, এরই মধ্যে নতুন এই খনিজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চন্দ্র অভিযান সম্পূর্ণ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিল চিনের চেং’এ-৫ চন্দ্র অনুসন্ধান মহাকাশযান। তখনই সে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল চাঁদের বিভিন্ন নমুনা। আর তার মধ্যে থেকেই পাওয়া গিয়েছে এই হিরে-কল্প বস্তুটি। নতুন এ খনিজটির নাম দেওয়া হয়েছে চেংয়েসাইট-(ওয়াই)। হিরের মতো স্বচ্ছ স্ফটিকটিকে নতুন খনিজ বলে স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক খনিজ সংস্থা বা আইএমএ-ও। চিনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন এবং পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই নয়া খনিজ আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে।
চেং’এ-৫ মহাকাশযানের আনা চন্দ্রপৃষ্ঠের নমুনাগুলির মধ্য থেকে এই নতুন খনিজটিকে আবিষ্কার করেছে বেজিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইউরেনিয়াম জিওলজি। এটি এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে পাওয়া ষষ্ঠতম খনিজ পদার্থ। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চিন চাঁদে এই সম্পূর্ণ নতুন এক খনিজ পদার্থের সন্ধান পেল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চেংয়েসাইট-(ওয়াই) একটি নতুন ধরনের ফসফেট খনিজ। বেজিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইউরেনিয়াম জিওলজির এক গবেষক দলের মতে, এই খনিজের একটি একক স্ফটিক কণার ব্যাস প্রায় ১০ মাইক্রন, অর্থাৎ, গড়পড়তা মানুষের চুলের ব্যাসের এক-দশমাংশেরও কম। এর স্ফটিক-গঠন বিশ্লেষণ করে বোঝা গিয়েছে, এটি এটি সম্পূর্ণ নতুন এক খনিজ। তবে, এই নতুন খনিজ ঠিক কী ধরণের কাজে লাগতে পারে, তা এখনও জানা যায়নি। চেংয়েসাইট-(ওয়াই) সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
মহাকাশ অভিযানগুলি সব সময়েই খুব ফলপ্রসূ। কিছু না কিছু নতুন জিনিস তারা সামনে আসে– তা তথ্য হতে পারে বস্তু। আর সেগুলি বিশ্লেষণ করলে খুলে যেতে পারে নতুন কৌতূহলের জায়গা।
জি ২৪ ঘণ্টা