নগরজীবনের ব্যস্ততার মাঝে মন চায় একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে। তাই তো আপনার একঘেয়েমি ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন বরিশাল বিভাগের ব্যতিক্রমী চার সমুদ্র সৈকত থেকে । অতি সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন আপনি ব্যতিক্রমী চার সমুদ্র সৈকতে। তো চলুন ঘুরে আসি বরিশাল বিভাগের ব্যতিক্রমী চার সমুদ্র সৈকত থেকে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। লম্বায় ১৮ কিলোমিটার এ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য। এই সৈকতের আরেক নাম সাগরকন্যা। সৈকতের পূর্ব দিকে আছে গঙ্গামতির বন। এই বনটি আগে বৃহত্তর সুন্দরবনের অংশ ছিল। যা এখন কুয়াকাটার ঢাল হয়ে ঢেউ এর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করছে জনপদকে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় তারুয়া সৈকতের অবস্থান। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ১৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়কের পর ১৫ কিলোমিটার নৌ-পথ পেরিয়ে সেখানে যেতে হবে। এই সৈকতে পর্যটকরা একই সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন বিশাল সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশি, নানা ধরনের পাখিদের কল-কাকলি, বালুকাময় মরুপথ আর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ছায়াঘন মনকাড়া নিবির পরিবেশ। বৈচিত্র্যময় প্রাণী দেখার পাশাপাশি সাগরের উত্তাল গর্জন দ্বীপটিতে আগত পর্যটকদের মনকে শান্ত করে। তাইতো তারুয়া দ্বীপটি দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
লালদিয়া সমুদ্র সৈকত
লালদিয়া সমুদ্র সৈকতটি বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত। বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মোহনায় লালদিয়া বনের পাশে এই স্বর্গরাজ্যের অবস্থান। এখানে এক পাশে সমুদ্র, অন্য পাশে বন, মাঝে সৈকত, এমন সৌন্দর্য্য প্রকৃতিতে বিরল। লালদিয়া সৈকতে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাউবন। হরিণঘাটা বনে নির্মিত ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ফুটট্রেল (পায়ে হাঁটার কাঠের ব্রিজ) সম্প্রসারিত করে লালদিয়া সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত
সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রান্তিক জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়ায় অবস্থিত এই সৈকত। সাগর তীরের বালুকণা পর্যটকদের দু-পায়ের অলঙ্কার হয়ে সঙ্গে থাকে। সীমাহীন সাগর তীরের মুক্ত বাতাস আর চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক শোভা যেন সৈকতটির দৃষ্টি আকর্ষণের টোপ। বরগুনা জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের মিলিত জলমোহনায় সৈকতটি দাঁড়িয়ে আছে যৌবনা রূপ নিয়ে। বেলাভূমিটি প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। একদিকে সমুদ্রের জলরাশি অন্যদিকে ঝাউবন এখানে আসা স্বল্প সংখ্যক পর্যটকদেরও দিচ্ছে বাঁধ ভাঙা আনন্দ।