বিশাল এক বিস্ফোরণ। যাকে বলা হয় বিগ ব্যাং। তথ্য অনুযায়ী এর দ্বারাই শুরু হয়েছিল মহাবিশ্ব । তারপরেই কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সির জন্ম হয়। সৃষ্টি হয় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। বিশাল ধ্বংস ও নির্মাণের পর তৈরি হয় পৃথিবী। তৈরি হয় সাগর মহাসাগর।
আবির্ভাব হয় জীবের। ধ্বংস হয় ডাইনোসর। সুযোগ পায় ছোট ছোট জীব। বিবর্তনের ধারায় আবির্ভাব হয় মানুষের। যেতে থাকে সময়। পরিবর্তন হয় পৃথিবী। প্রশ্ন উঠে মহাবিশ্ব কে নিয়ে আর সেই ফলশ্রুতিতে আমরা আজ এখানে। খুবই সংক্ষেপে এটাই হল আমাদের এখন পর্যন্ত যাত্রা। তবে এর শেষ কোথায়। আমাদের জানা নেই। সেই বিগ ব্যাং থেকে শুরু হওয়া আজকের মহাবিশ্ব। কতটা বিশাল কতটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
তা আমাদের ধারণারও বাইরে। আজকের ভিডিওটা কিছু কৌতুহলী মানুষের জন্য। যারা নাকি মন খুলে চিন্তা করতে পারে। মহাবিশ্ব সম্পর্কে এখনো সমান্য সঠিক ইনফরমেশন আমাদের কাছে নেই। তবে যা আছে সেই তথ্যগুলোকে সাথী করে। আজ ভ্রমণ করব মহাবিশ্বের শেষ সীমানাও অবধি । দেখতে চান মহাবিশ্বের শেষে কি রয়েছে। কতটা বিশাল এই মহাবিশ্ব। আর আমরা কতটা ছোট। তো আজকের যাত্রায় আমার সাথে সামিল হন। চলুন শুরু করি আজকের ভিডিও ।
এই আমাদের পৃথিবী। কল্পনা করুন আমরা এমন এক কাল্পনিক স্পেশশিপের মধ্যে উঠেছি। যেটা নাকি অসীম গতি অর্জন করতে সক্ষম।। পৃথিবী থেকেই শুরু করি। আমরা লঞ্চ করলাম। উপরের দিকে যাচ্ছি । যতটুকু উপরে উঠলাম এতটুকুতে বিভিন্ন বিমান এবং আকাশে ঘুরে বেড়ানো যানবাহন চলাফেরা করে। আমরা আরও উপরে চলবো। এখন যেখানে আছি এটা বায়ুমন্ডলের একটা স্তর। যাকে বলা হয় ট্রপমন্ডল। এখানে সাধারণত আবহাওয়ার খোঁজ খবর রাখার জন্য।
যে বিশালাকার বেলুন গুলো পাঠানো হয়। সেগুলো থাকে। আমরা আরও উপরে যাব। এখন ১০০ কিলোমিটার ওপরে আছি আমরা । এখান থেকেই যেন কতটা ছোট মনে হচ্ছে আমাদের তাই না। ইতোমধ্যে আমরা পৃথিবীর বায়ুস্তর পার করে এসেছি। তবে এখানেই শেষ নয়। যাত্রায় এখনো আমরা এক অংশ ও যাইনি। । চলুন গতি আরেকটু বাড়িয়ে নেই। আমরা এখনো আছি আমাদের পৃথিবীর থেকে ১০০০ কিলোমিটার উপরে। কতটা ছোট মনে হচ্ছে তাই না। তবে আমরা আরো উপরে উঠবো। যেখানে আমরা এখন আছি। এটা পৃথিবী থেকে প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার উপরে। চলুন আরও দূরে যাই। ওই যে ছোট্ট সাদা একটা বিন্দু দেখতে পাচ্ছেন। ওটা আমাদের উপগ্রহ চাঁদ। ইঞ্জিন স্টার্ট।