বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একাংশ যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে শিগগির। গাজীপুর মহানগরীর স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত উড়ালসেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি আগামী সপ্তাহে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উড়ালসেতুটি খুলে দেওয়া হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের যানজট কমবে; মানুষের যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক। এতে সেতুর নিচের সড়কে অন্যান্য নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গেছে।
বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার বিকেলে তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন শেষে প্রকল্পের এমডি বলেন, ‘নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশ যেসব পরামর্শ দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন যানবাহনের গতিবিধি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে গাজীপুর মহানগরীর স্টেশন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত অংশে নির্মিত ফ্লাইওভারটি আগামী এক সপ্তাহে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘উড়ালসেতুতে যানবাহন কীভাবে চলবে, রেলিং ঘেঁষে যেন গাড়ি না চলে, আঁকাবাঁকা অংশে চালকের সাবধানতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছু পর্যক্ষেণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে।’
বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি উড়ালসেতু। এছাড়া সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন। ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনালও রয়েছে প্রকল্পে।
এ প্রকল্পের অধীনে আরও রয়েছে বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুই পাশে উচ্চধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।